শুরুটা হয়েছিল কালনায়। ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন নদিয়ার এক যুবক। শুধুমাত্র গুজবের জেরেই এধরনের ঘটনা ঘটে। তবে এখানেই শেষ নয়। গুজবের রেশ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। হুগলির বলাগড়ে আক্রান্ত তিন। গতকাল সন্ধেয় নদিয়ার কল্যাণীর বাসিন্দা রঞ্জুবালা ঘোষ ও তাঁর মেয়ে অপর্ণা নিজেদের গাড়িতে চড়ে বলাগড়ে আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। অপর্ণা ঘোষ পেশায় হাই স্কুলের শিক্ষিকা। অভিযোগ, আসানপুরের কাছে তাঁদের গাড়ি আটকান স্থানীয় কয়েকজন লোক। ছেলেধরা সন্দেহে গাড়ির চালক বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ চলতে থাকে। কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় মারধর। রেহাই পাননি রঞ্জুবালা ঘোষ ও তাঁর মেয়ে। গণপিটুনিতে তিনজনই গুরুতর আহত হন। তাঁদের গাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে তাদেরও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে, আক্রান্ত মা-মেয়েকে কল্যাণীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আক্রান্ত চালকের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বলাগড় থানার পুলিশ।
advertisement
উত্তর চব্বিশ পরগনার পলতাতেও ছেলেধরা সন্দেহে দুই ভবঘুরেকে গণপ্রহারের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় একজনের মৃত্যুও হয়েছে। গতকাল দুপুরে পলতা স্টেশন লাগোয়া এলাকায় দুই ভবঘুরেকে ঘুরতে দেখেন স্থানীয়রা। তারমধ্যে একজনের কাঁধে ঝোলা ছিল। এতেই ওই দু’জনকে ছেলেধরা সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। শুরু হয় মারধর। মারের চোটে দু’জনই জ্ঞান হারায়। খবর পেয়ে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে বারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে ভরতি করে। সেখানেই এক ভবঘুরের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, গুজবে যাতে কেউ কান না দেন, তারজন্য প্রচার শুরু করল কালনা প্রশাসন। গতকাল রাতে শহরের জনবহুল এলাকায় মাইকিং করা হয়। সন্দেহজনক কিছু দেখলে প্রশাসনকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি, কেউ গুজব ছড়ালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বর্ধমানের জেলাশাসক।