কয়েক দিন আগেই গত ১৪ নভেম্বর নিউ টাউনের বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা হরি মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ির ভিতরেই চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়ায়৷ কয়েক দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি৷ বছর দেড়েক আগে এই নিউ টাউনেই ফুটবল খেলতে গিয়ে সাপের কামড় খেয়ে মৃত্যু হয় সৌরভ নস্কর নামে ২৬ বছর বয়সি এক যুবকের৷
advertisement
সর্পবিদ তাপস রায় জানিয়েছেন, গত এক বছরে নিউ টাউন থেকে প্রায় ১৩০টি সাপ ধরেছেন তিনি৷ তার মধ্যে নব্বই শতাংশই চন্দ্রবোড়া৷
তাপসবাবুর দাবি নিউ টাউনের জনবসতি গড়ে ওঠার কারণে ক্রমশ কমছে সবুজ, ফাঁকা জমি৷ ফলে সাপেদের থাকার জায়গাও কমছে৷ সেই কারণেই বাড়ি, ঘর, রাস্তায় দেখা মিলছে সাপের৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, যেহেতু চন্দ্রবোড়া সাপ ডিম না দিয়েই সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে, তাই চন্দ্রবোড়ার বাচ্চা বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও বেশি৷ ফলে তাদের বংশবিস্তারও দ্রুত হয়৷
গত এক বছরে নিউ টাউনের তিন জন বাসিন্দার চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷ আরও সাত থেকে আট জন বাসিন্দা সাপের কামড় খেয়েছেন৷ নিউ টাউন এলাকার সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই সাপের কামড় খাওয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টি ভেনম রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ তার পরেও আতঙ্ক কাটছে না নিউ টাউনের বাসিন্দাদের৷ সল্টলেকের ডিএফও কল্যাণ রায়ও জানিয়েছেন, নিউ টাউন থেকে নিয়মিত সাপ ধরছে বন দফতর৷ তার মধ্যে অধিকাংশই চন্দ্রবোড়া৷