এই বিধানসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবানীপুর কেন্দ্র৷ কমিশনের কাছে জমা পড়া তথ্য অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রে বাদ যেতে পারে ৪৪ হাজার ৭৮৭টি নাম৷ আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কেন্দ্র নন্দীগ্রাম থেকে বাদ যেতে পারে ১০৫৯৯টি নাম৷
এর পাশাপাশি আর যে যে বিধানসভা কেন্দ্রগুলি থেকে বিপুল সংখ্যক নাম বাদ যেতে পারে তাঁর মধ্যে অন্যতম কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কেন্দ্র কলকাতা বন্দর৷ এই কেন্দ্র থেকে ৬৩,৭৩০টি নাম বাদ যেতে পারে বলে কমিশন সূত্রে খবর৷ বালিগঞ্জ কেন্দ্রে ৬৫,১৭১ এবং রাসবিহারী কেন্দ্রে ৪২,৫১৯টি নাম বাদ যেতে পারে৷
advertisement
কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে চৌরঙ্গীতে ৭৪,৫৫৩, জোড়াসাঁকোতে ৭২,৯০০ নাম বাদ যেতে পারে৷ কলকাতার অন্যান্য বিধানসভাগুলিতেও বাদ যাওয়া ভোটারের সংখ্যা গড়ে চল্লিশ হাজারের উপরে৷
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে ৩৮,৩৯৫, শিলিগুড়িতে ৩১,১৮১, মালদহের ইংরেজবাজারে ২৩,৯৫৬ নাম বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷
কলকাতা লাগোয়া বিধাননগর এবং রাজারহাট গোপালপুর কেন্দ্রে যথাক্রমে ৪৪,৯০৬ এবং ৪৭,৬০৪ জনের নাম বাদ যেতে পারে৷ সীমান্তবর্তী দুই জেলা উত্তর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা মিলিয়েই প্রায় ১৬ লক্ষ নাম বাদ যেতে পারে৷ উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার মধ্যে যে ৩২টি বিধানসভা রয়েছে, সেখান থেকেই সম্মিলিত ভাবে ৭ লক্ষ ৯২ হাজার নাম বাদ যেতে পারে৷ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা জুড়ে বাদ যেতে পারে ৮ লক্ষ ১৬ হাজারেরও বেশি নাম৷ সীমান্তবর্তী অন্যান্য জেলাগুলিতে অবশ্য খসড়া তালিকা বাদ যাওয়া নামের সংখ্যা এত নয়৷ নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোটারদের মৃত্যু, অন্যত্র চলে যাওয়া, খুঁজে না পাওয়া কারণে সবমিলিয়ে খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষের বেশি নাম বাদ যেতে চলেছে৷
