‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ (এসআইআর) আপাতত দেশের রাজনীতির মূল আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে।বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি বলেই দাবি করছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, এসআইআর হলে অনেক ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ যাবে। এই পরিস্থিতিতে এবার এসআইআর চালু হলে ভুয়ো ভোটারের পাশাপাশি ভুয়ো মন্ত্রীদের তথ্যও সামনে আসতে পারে বলে চমকে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন প্রত্যেকটি রাজ্যের সিইওর সঙ্গে বৈঠক করছে। আর সেই বৈঠকেই ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসআইআর সম্পর্কিত কাজ সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে এসআইআর যে লাগু হওয়া যে শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। যারা সেই এসআইআরের বিরোধিতা করছে, তাদের জন্য এবার চিন্তার কথা বলে দিলেন সুকান্তবাবু। তার ইঙ্গিতবাহী মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এসআইআর হলে অনেক ভুয়ো তথ্য সামনে চলে আসবে। আর সেই তথ্য সামনে চলে এলে যে অনেক বড় বড় মাথা চাপে পড়ে যাবেন, তা স্পষ্ট হয়ে গেল সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যে।
এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এসআইআর শুরু হোক। সবে তো কলির সন্ধ্যা। আরও অনেক কিছু পাওয়া যাবে। ভুয়ো ভোটার কার্ড, ভুয়ো আধার কার্ড। দেখা যাক, ভুয়ো মন্ত্রী, ভুয়ো বিধায়ক পাওয়া যায় কিনা।’ তবে সুকান্তবাবুর এই বক্তব্যের পরেই তাকে এসআইআর কবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েও তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, ‘এসআইআর নির্বাচন কমিশনের বিষয়। তাই তারা যেদিন ঘোষণা করবে, সেদিন এসআইআর হবে।’ তবে এসআইআর নিয়ে রাজ্য বিজেপি যেমন তারা অবস্থান স্পষ্ট করেছে ঠিক তেমনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও তাদের বক্তব্য সামনে এনেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন যদি ভোটার তালিকা অগ্রাহ্য হয় তবে সেই তালিকায় নির্বাচন হয়ে যারা প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতি উপরাষ্ট্রপতি হয়েছেন তারাও অবৈধ। সুতরাং আগেই প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিন কিংবা মন্ত্রীসভা ভেঙে দিন তারপর এসআইআর লাগু করুন গোটা দেশজুড়ে।