কমিশন সূত্রে খবর, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল কিন্তু পরবর্তীকালে মৃত্যু হয়েছে, এমন ২৪১৮৫৯৯ জন মৃত ভোটারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়ায়৷ খোঁজ পাওয়া যায়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ১২১২২৭৪৷ অন্যত্র চলে গিয়েছেন এমন ১৯৯১৯৬৬ ভোটারের খোঁজ মিলেছে৷ দুই অথবা একাধিক বিধানসভায় নাম রয়েছে এমন ভোটারের সংখ্যা ৫৭৬৮৭৷ সবমিলিয়ে খসড়া ভোটার তালিকায় ৫৮ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৮৭ জন ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে বলেই কমিশন সূত্রে খবর৷
advertisement
কমিশন সূত্রে খবর, বিএলও-দের কাছে ভোটাররা যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে ভুঁড়ি ভুঁড়ি অসঙ্গতি এবং ত্রুটি ধরা পড়েছে৷ যেমন, ২৪ লক্ষ ২১ হাজার ১৩৩ জন এমন ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে, যাঁদের নাতি অথবা নাতনির সংখ্যা ছ জনের বেশি৷ আবার ২০ লক্ষ ৭৪ হাজার ২৫৬ জনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, তাঁদের বয়স ৪৫ বছরের বেশি হলেও ২০০২-এর ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম নেই৷
বাবার নামে অসঙ্গতি রয়েছে, এমন ৮৫ লক্ষ ১ হাজার ৪৮৬ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে৷ বাবা মায়ের সঙ্গে ভোটারের বয়সের পার্থক্য ১৫ বছরের কম, এমন ১১ লক্ষ ৯৫ হাজার ২৩০ জনের খোঁজ মিলেছে৷ আবার ভোটারের সঙ্গে বাবা-মায়ের বয়সের পার্থক্য ৫০ বছরের বেশি, এমন ভোটারের ৮ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭৩৬ জন৷ দাদু অথবা ঠাকুমার সঙ্গে বয়সের পার্থক্য ৪০ বছরের কম, এমন ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ১৫২ জনকে চিহ্নিত করেছে কমিশন৷
আবার অনেক ক্ষেত্রের তথ্যের গলদে বাবা হয়ে গিয়েছেন মা, মা হয়ে গিয়েছেন বাবা৷ এ ভাবে ১ কোটি ৬৭ লকষ ৪৫ হাজার ৯১১ জন ভোটারের তথ্যে ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর৷
কমিশন মনে করছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটি অথবা তথ্যপঞ্জীর বিভ্রাটে ভোটারদের তথ্যে এই অসঙ্গতি দেখা দিতে পারে৷ আবার ইচ্ছাকৃত ভাবেও অনেকে ভুল তথ্য দিয়ে থাকতে পারেন৷ ভোটারদের তথ্যে এই ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করে নিজেদের কাছে থাকা এনুমারেশন ফর্মের তথ্যের সঙ্গে সেগুলি মিলিয়ে দেখার জন্য বিএলও-দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
