কলকাতা: জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বৈঠকের আগেই রাজ্যে শেষ হল ম্যাপিংয়ের কাজ। দুই জেলা বাদে রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতে শেষ হল ম্যাপিংয়ের কাজ। অর্থাৎ স্পেশ্যাল ইন্টেনসিভ রিভিশন শুরু হওয়ার আগে ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান ভোটার তালিকার মিল খুঁজে পাওয়ার কাজ।
advertisement
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলাকে আরও পাঁচ দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে ম্যাপিংয়ের কাজ শেষ করার জন্য। রাজ্যে গড়ে ম্যাপিং শেষে প্রায় ৫২ শতাংশেরও বেশি দুই ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে।
২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান ভোটার তালিকায় রাজ্যে গড়ে নাম রয়েছে ৫২ শতাংশেরও বেশি। দুই জেলার কাজ সম্পন্ন হলে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৫৪ শতাংশের সামান্য বেশি। সব থেকে বেশি মিল পাওয়া গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়, সবথেকে কম উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল বলেন, “দুটি জেলা বাদে বাকি জেলাগুলিতে ম্যাপিং ও ডেটা এন্ট্রির কাজ শেষ করা হয়েছে। দার্জিলিং ও জলপাইগুড়িকে আরও তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছে।”
স্পেশ্যাল ইন্টেনসিভ রিভিশন শুরু হওয়ার আগে ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান ভোটার তালিকায় কত মিল রয়েছে, তার কাজ শেষ করা হল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সব থেকে বেশি মিল পাওয়া গেল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৬৮ শতাংশরও বেশি মিল পাওয়া গেছে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা সঙ্গে বর্তমান ভোটার তালিকার।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৬১. ৫৬ %
বাঁকুড়া জেলায় ৬০ শতাংশ
পুরুলিয়া জেলায় ৬৩ শতাংশের সামান্য বেশি
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৬৫. ৬৯ শতাংশ
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ৫০ শতাংশ
উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৪২ শতাংশ
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় প্রায় ৪০ শতাংশ
নদীয়া জেলায় ৫২ শতাংশ
বীরভূম জেলায় প্রায় ৫৫ শতাংশ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রায় ৫৯ শতাংশ
আলিপুরদুয়ার জেলায় ৫৩.৭৩ শতাংশ
কালিম্পং জেলায় ৬৫.২৯ শতাংশ
মালদায় ৫৪.৪৯ শতাংশ
মুর্শিদাবাদ জেলায় ৫২ শতাংশের সামান্য বেশি
ঝাড়গ্রাম জেলায় ৫২ শতাংশ
উত্তর কলকাতায় ৫৫.৩৫ শতাংশ
কোচবিহার জেলায় প্রায় ৫৫ শতাংশ।