হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে রিপোর্ট পেশ হয়েছে। তাতে সংযুক্ত করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টও। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ বলা হয়েছে হৃদরোগ৷ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে রাজকুমারের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন উল্লেখ করা হয়েছে। বাঁ হাতের কনুই এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন সামনে এসেছে। স্পষ্ট কালশিটে দাগ দুই জায়গায় লক্ষ্য করা গেছে ময়নাতদন্তের সময়।
১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ময়নাতদন্ত হয়। ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুর থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর মধ্যে আঘাত হয়েছে বলে ময়না তদন্তের রিপোর্ট জানাচ্ছে। রাজকুমারের পরিবারের অভিযোগ ছিল, জিজ্ঞাসাবাদের নামে থানায় মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন চালানোর। আর সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি জানান, "ময়না তদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট থানায় নির্যাতনের ঘটনা। কলকাতা পুলিশের ওপর আর ভরসা নেই। আদালতের কাছে আমরা এবার সিবিআই তদন্তের আবেদন রাখবো।"
advertisement
মৃত রাজকুমারের পরিবার আলাদা করে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছে। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত চেয়েছে তারা। পরিবারের আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ন চট্টোপাধ্যায় এবং শীর্ষেন্দু সিংহরায় জানান, "পরিবার অনেকবার অনুনয়-বিনয় করেও পুলিশের কাছ থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পায়নি। এই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তাদের খুনের যুক্তিকে আরও জোড়ালো করল।"
সিঁথি থানার হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে রিপোর্ট রাজ্য মানবাধিকার কমিশনেও জমা পড়েছে। ইতিমধ্যে হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে বিচারবিভাগীয় অনুসন্ধান শুরু করেছে রাজ্য।
তবে ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শী আশুরা বিবি'র বয়ান কার্যত হুবহু মিলে গিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে।
ARNAB HAZRA