কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী। বরাবরই কবিরাজ বাগান বাড়োয়ারির ভাবনা তাঁরই থাকে। গত বছরের কলকাতায় দার্জিলিংয়ের পরিবেশ তৈরি করেছিলেন অমলবাবু। এ বার তাঁর নিজের যাওয়ার কথা ছিল নজরুল মঞ্চে। যেতে পারেননি। সেই আফশোস থেকে যাবে সারা জীবন। সেই কারণেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে নজরুল মঞ্চে কেকের অনুষ্ঠানটিকে লাইভ শো হিসেবে ফিরিয়ে আনবেন দুর্গা পুজোর মণ্ডপে।
advertisement
অমলবাবু বলেন, ''মণ্ডপের পুরোটা জুড়েই নজরুল মঞ্চের লাইভ শো। গায়ক কেকে-র পূর্ণাবয়ব মূর্তি তৈরি হচ্ছে কুমোরটুলিতে। শিল্পী মন্টি পাল।''
কলকাতা নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল উল্টোডাঙ্গার গুরুদাস কলেজ। এই কলেজটি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডেই। অনুষ্ঠান চলাকালীন কেকে বার বার ঘাম মুছছিলেন। গরমে শরীর খারাপ লাগছিল তাঁর। অসুস্থ হয়ে পড়েন। হোটেলে নিয়ে যাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার পরই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁর জীবনাবসান হয়।
আরও পড়ুন: গাইয়েছিলেন রূপঙ্করকে দিয়ে, সেই 'এ তুমি কেমন তুমি' কেকে-র জন্য পাল্টে দিলেন সুমন!
এই ঘটনায় বাংলার শ্রোতারা যেমন হতবাক। ঠিক তেমনই ভাবে শোকস্তব্ধ গোটা দেশের সঙ্গীতমহল। আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় গোটা যন থমকে গিয়েছিল। আজও রোজ তাঁর গান শুনে যাচ্ছেন ভক্তরা। কেবল হিন্দি গান নয়, ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রাদেশিক ভাষায় গান করে গত কয়েক বছরে গোটা দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ছেন কেকে। তাঁর প্রেমের গানে আজও মন হু হু করে ওঠে কত জনের।
আরও পড়ুন: কেকে-র মৃত্যু কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি, মামলার অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের
সেই কেকে-র শেষ লাইভ শো-র ২০টি গানে মাতবে উল্টোডাঙ্গার কবিরাজ বাগানের পুজো মণ্ডপ।
Biswajit Saha