শীতে পরিযায়ী পাখি ছেয়ে ফেলবে সাঁতরাগাছি ঝিল সহ রাজ্যের নানা জলাশয়। কিন্তু, সেই ঝিলই দূষণে আক্রান্ত। সাঁতরাগাছি ঝিলের দূষণ নিয়েই গ্রিন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। তার ভিত্তিতে বিচারপতি ওয়াংদি ও বিশেষজ্ঞ সদস্য পি সি মিশ্রের বেঞ্চ রা
জ্যের পরিবেশ আদালতকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে। যেমন,
- রাজ্যের ঝিলগুলি এবার থেকে সাইলেন্স জোনের আওতায়
advertisement
- ঝিলের ধারে জোরে হর্ন, মাইক বাজানো যাবে না
- ফাটানো যাবে না বাজি ও পটকা
- কোন ঝিল সাইলেন্স জোন হিসেবে ঘোষিত হবে তা স্থির করবে পরিবেশ দফতর
- দ্রুত সাঁতরাগাছি ঝিল পরিষ্কার করতে হবে
- হাওড়া পুরসভা, দক্ষিণ-পূর্ব রেল ও বনদফতরকে পরিষ্কারের নির্দেশ
এর আগে, সাঁতরাগাছি ঝিলের নজরদারিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়া হয়েছিল। কিন্তু, বুধবার কমিটির চেয়ারম্যানের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পরিবেশ আদালত।
কিন্তু কেন এমন রায়?
- শীতের সময় রাজ্যের অনেক ঝিলেই পরিযায়ী পাখিরা আসে
- শব্দের চোটে অনেক সময়ই তারা স্থানবদল করে
- শব্দের জেরে সরোবরের বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়
আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ডিসেম্বরেও শীত পড়েনি। তবে সময় ধরেই নিশ্চয় আসা শুরু হবে পরিযায়ী পাখির। তার আগে পরিবেশ আদালতদের এই নির্দেশ আশ্বস্ত করল পক্ষীপ্রেমীদের।
তবে সাঁতরাগাছি স্টেশনের কাছে সাইলেন্ট জোন নিয়ে বিরোধিতা করেছে রেল ৷ আদালতে যাওয়ার ভাবনা রেলের ৷ হাওড়া স্টেশনের বিকল্প হিসেবে সাঁতরাগাছি স্টেশনকে টার্মিনাল করা হচ্ছে ৷ সেখানে হর্ন না বাজালে ট্রেন চালানো সম্ভব নয় বলে দাবি রেল দফতরের ৷ টার্মিনাল হলে আগামী দিনে বাড়বে ট্রেনের সংখ্যা ৷ এজন্য ৩৭৫ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে ৷ হর্ন বাজানো রেল সুরক্ষা ব্যবস্থার অঙ্গ ৷ সাইলেন্স জোন সেকারণে আদালতে যাওয়ার ভাবনা রেলের ৷