এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে শিখা মিত্র বলেন, 'জীবন দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কাজে তাঁকে সঙ্গ দিতে চাই। আমি কখনও কংগ্রেসে যোগ দিইনি। আমার স্বামী ওই দলের পদে ছিলেন ঠিকই, কিন্তু আমি কখনও কংগ্রেসে যোগ দিইনি। আমি কখনও তৃণমূল ছাড়িনি। সামান্য মনোমালিন্য হয়েছিল।' স্বাভাবিক কারণেই শিখার এই দাবি শোরগোল ফেলেছে রাজ্য রাজনীতিতে।
advertisement
গত কয়েকদিন ধরেই শিখা মিত্রের তৃণমূলের ফেরার সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছিল৷ সোমেন মিত্রের মৃত্যুবার্ষিকীতে শিখাকে ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর দিন কয়েকের মধ্যেই তৃণমূলে ফিরলেন প্রয়াত সোমেন মিত্রের স্ত্রী৷ এদিন দলে যোগ দিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনের কথা বলেন শিখা।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র প্রার্থী তালিকা জায়গা পেয়েছিলেন শিখা মিত্র। তাঁর নামও ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল দিল্লি থেকে৷ যদিও তিনি বিজেপি প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে কোনও সম্মতি দেননি বলেই দাবি করেছিলেন শিখা দেবী৷ শেষে চৌরঙ্গী কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করে বিজেপি। এমনকী তাঁর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।
সোমেন ও শিখা মিত্রের ছেলে রোহন মিত্র যদিও এখনও কংগ্রেসেই রয়েছেন৷ তবে, তাঁরও তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছে। যদিও সোমেন পত্নীর তৃণমূলে দ্বিতীয়বার আনুষ্ঠানিক যোগদানের আগেই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন রোহন মিত্র। প্রদেশ কংগ্রেসে শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি একরাশ ক্ষোভ ঝরে পড়ে তাঁর কথায়। তাঁর নিশানায় ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও আবদুল মান্নান।