ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন যে বাংলাদেশ যদি শুধরে যায় তো ভালো, নাহলে ফল ভুগতে হবে। যে বাসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে, তা ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় আসছিল। ত্রিপুরার পরিবহণ মন্ত্রী বলেছেন, ‘ত্রিপুরা থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়া বিশ্বরোডে আক্রান্ত হয়েছে শ্যামলী পরিবহণের একটি বাস। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গাড়িতে থাকা ভারতীয় যাত্রীরা। বাসটি বিশ্বরোডের এক পাস ধরেই যাচ্ছিল। হঠাৎ বাসটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুর্ঘটনার কবলে ফেলার জন্য ধাক্কা দেয় পণ্যবাহী একটি ট্রাক।’
advertisement
আরও পড়ুন: বিরাট খবর! নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জামিন ‘হেভিওয়েট’ অভিযুক্তের! কে তিনি জানেন? চমকে যাবেন শুনে
এই ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকেন। তাঁদের সামনেই ভারত-বিরোধী নানা স্লোগান দিয়ে এবং নানা কুমন্তব্য করে যাত্রীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীরা।
এই ঘটনায় ত্রিপুরার পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য সেদেশের প্রশাসনকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মন্ত্রী নিজে সামাজিক মাধ্যমে এই খবর জানিয়ে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। পাশাপাশি ত্রিপুরা রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান তথা পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলা সভাধিপতি বলাই গোস্বামী এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দাজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, রাজ্যের মন্ত্রী ও প্রশাসন ত্রিপুরা রাজ্যের বাসিন্দারা যাতে সুরক্ষিত থাকে তার জন্য বাংলাদেশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে।