তবে কি কলকাতা পুরসভায় বিজেপি'র মেয়র পদপ্রার্থী একদা তৃণমূলের অন্যতম সেনাপতি তথা কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের! পুরভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা শোনা যাচ্ছে তাতে দিনক্ষণ ঠিক না হলেও এপ্রিলেই পুরসভা নির্বাচণ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর তার ঠিক আগেই শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদ্মফুলের ব্যানারে শোভনের এই ছবি ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
advertisement
যদিও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া, পদ্মফুল ছাপ আঁকা ওই পোস্টার প্রচারিত হচ্ছে করছে 'নাগরিক বৃন্দ'-এর ব্যানারে। আর এখানেই যাবতীয় ধোঁয়াশা। ওয়াকিবহালমহলের মতে, শোভন বিজেপির মেয়র পদপ্রার্থী হলে তো বিজেপির কোন শাখা সংগঠন অথবা জেলা অথবা মণ্ডলের তরফে প্রচার হবে। তা না হয়ে কেন 'নাগরিক বৃন্দ'! তবে কি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে মেয়র প্রার্থী করতে চেয়ে শোভন অনুগামীদের এই স্বতপ্রোণদিত উদ্যোগ ? প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।
প্রসঙ্গত, তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। যদিও বিজেপির নানা অভিযানে শামিল হওয়ার আগেই রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে তাঁর গোলমাল বাধে বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে। প্রথম থেকেই দলীয় কাজে অনিয়মিত ছিলেন শোভন। তারমধ্যেই শোভন খবরের শিরোনামে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে বিজয়া করতে গিয়ে। এই ঘটনার পরই রাজনীতির অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় 'তবে কি ঘরওয়াপসি?' এমনকী তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও এই ঘটনার পর মন্তব্য করেন দলেই আছেন শোভন। তিনি আগের মতোই দলের কাজে মন দিন। কিন্তু তার পরেও রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে সম্পর্ক মসৃন হয়নি শোভনের। আবার বিজেপিতেও তিনি অনিয়মিত।
এই অবস্থায় বিজেপির প্রতীকে শোভনের ছবি নিয়ে 'নাগরিক বৃন্দ' প্রচারিত এই ব্যানারকে ঘিরে দানা বেধেছে রহস্য। তিনি কি আদৌ প্রার্থী হচ্ছেন নাকি দলের উপর চাপ সৃষ্টি করতে এ তাঁর ঘনিষ্ঠমহলের কৌশল। তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।