গুলি করার পর হেঁটে এলাকা ছাড়ে কীর্তিমান প্রেমিক। সমীর মিস্ত্রির বন্দুক দিয়েই তাঁকে খুন করে স্ত্রী মধুমিতার প্রেমিক চন্দন মণ্ডল। তিন মাস আগে মধুমিতা নিজেই স্বামীর বন্দুক চুরি করে চন্দনের হাতে তুলে দেয়। প্রেমিকের সঙ্গে নতুন সংসার পাততে স্বামীকে খুনের জন্য তাড়াও দিত মধুমিতা। কাজ হাসিল হতে দেরি হওয়ায় চন্দনকে কাপুরুষ বলেও ভর্ৎসনা করে। ধৃত চন্দন মণ্ডলকে জেরা করে উঠে এসেছে এমনই নানা তথ্য। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে সঙ্গে নিয়ে নোয়াপাড়া এলাকায় যায় সোনারপুর থানার পুলিশ। সঙ্গে ছিল বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ।
advertisement
এই বাড়িতেই কাগজ দিত চন্দন। নয় এপ্রিল সমীরকে খুনের পর গোলাপী প্লাস্টিকের মধ্যে কাপড়ে মোড়া আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এখানেই প্রথম আসে সে। বাড়ির লোকেদের সেই প্লাস্টিক রাখতে দেয় চন্দন। চেনা চন্দনকে সন্দেহ করেননি ওই বাড়ির লোকেরা। বৃহস্পতিবার রাতে সিঁড়ির নীচ থেকে উদ্ধার হয় প্লাস্টিকে মোড়া খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি।
জেরায় পুলিশ জেনেছে, ৯ এপ্রিল ঝড়বৃষ্টির রাতে যাদবপুর স্টেশনে বসে খুনের ছক কষে মধুমিতা ও চন্দন। একই ট্রেনে বাড়ি ফেরে তারা। সোনারপুর স্টেশনে মেয়ের সঙ্গে দেখা হয় মধুমিতার। আইপিএলের জন্য সেদিন একটু আগেই বাড়ি ফেরেন সমীর মিস্ত্রি। ঝড়বৃষ্টির রাত হলেও পরিকল্পনা মত সদর দরজা খোলা রেখেই স্বামীকে খেতে দেয় মধুমিতা। বাড়ির পাশেই অপেক্ষায় ছিল চন্দন। সমীর খেতে বসলেই গুলি চালায় চন্দন। গুলি করার পর হেঁটে এলাকা ছাড়ে কীর্তিমান প্রেমিক।