এই ভুল থেকেই ঘটতে পারত বড়সড় দুর্ঘটনা ৷ সে সময় ট্রেনের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫ কিমি ৷ ট্রেনের গতিবেগ কম থাকায় আরও বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে হাওড়াগামী মেদিনীপুর ও বালিঘাট লোকাল ৷
তদন্তকারীদের র্যাডারে গার্ডের ভূমিকাও। সাসপেন্ড ডাউন বালিচক লোকালের চালক ও গার্ড। রবিবার, দুপুর তখন দুটো। হাওড়া-খড়গপুর শাখার পাঁশকুড়া ও হাউড় স্টেশনের মাঝে আচমকা বিকট আওয়াজ। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান, একটি দাঁড়িয়ে থাকা লোকাল ট্রেনের পিছনে ধাক্কা মেরেছে আরেকটি লোকাল ট্রেন। কীভাবে ঘটল এমন দুর্ঘটনা?
advertisement
পাঁশকু়ডা স্টেশন ঢোকার আগে ডাউন লাইনে দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। তাই পাঁশকুড়া স্টেশনে ঢোকার সিগনাল পায়নি ডাউন মেদিনীপুর-হাওড়া লোকালও। সেই দাঁড়িয়ে থাকা মেদিনীপুর লোকালেই পিছন থেকে ধাক্কা মারে ডাউন বালিচক-হাওড়া লোকাল। ঘটনার জেরে, তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় দুটি লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যেই। সংঘর্ষের জেরে অনেকেই কামরার মধ্যে ছিটকে পড়েন। প্রাণ ভয়ে অনেকেই ট্রেন থেকে বাইরে লাফ দেন। কয়েকজন আহতও হন।
অভিযোগ, সিগনাল লাল থাকা সত্ত্বেও তা অমান্য করে এগিয়ে যায় ডাউন বালিচক লোকাল। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠেছে।
দুর্ঘটনা ঘিরে প্রশ্ন
- ডাউন বালিচক লোকালের চালক সিগন্যাল ভাঙলেন কেন?
- চালক কি অন্যমনস্ক ছিলেন?
- গার্ড কেন চালককে সতর্ক করলেন না?
- নাকি, জানানো সত্ত্বেও খেয়াল করেননি চালক?
- নাকি অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হয়েছিল চালককে?
- সেকারণেই কি অসুস্থ বা অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলেন চালক?
ট্রেন চালানোর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে ডাউন বালিচক লোকালের চালক এস বিশ্বাসের। অভিজ্ঞ চালক কি কিছুটা আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছিলেন? তদন্তে এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চালক অসুস্থ ছিলেন কিনা জানতে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় ৷ নেশাগ্রস্ত ছিলেন কিনা জানতে হয় রক্তপরীক্ষাও ৷ রবিবার, ঘটনাস্থলে যান রেলকর্তারা। অল্পের জন্য যে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে তা মানছেন তাঁরা।