এদিন ট্যুইট করে তিনি বলেন, ‘প্রকৃত ভারতীয়রা যেন বঞ্চিত না হন ৷ ভারতের আসল নাগরিকরা বঞ্চিত হচ্ছেন ৷ এমনকি, হাজারেরও বেশি ভারতীয়, যাঁদের মধ্যে সিআরপিএফ এবং সেনার পরিবার রয়েছেন, তাঁদের নামও বাদ গিয়েছে। নাম নেই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের পরিবারেরও।সত্যিকারের ভারতীয়দের যাতে বের করে না দেওয়া হয়, তার জন্য সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। তাহলেই ভারতীয় সব ভাই বোনদের প্রতি সুবিচার করা হবে। ’
advertisement
অসমে নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়েছে এক লক্ষ গোর্খা সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের নাম ৷ এই ঘটনায় তিনি হতবাক ও ক্ষুব্ধ ৷ তৃণমূলনেত্রীর ট্যুইটে ঝরে পড়েছে সেই ক্ষোভ ৷ তিনি লিখেছেন, ‘আগে আমি এনআরসির ব্যর্থতা নিয়ে সচেতন ছিলাম না। যত বেশি তথ্য আমার কাছে আসছে, আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। ভাবতেও অবাক লাগে, এক লক্ষেরও বেশি গোর্খা মানুষের নাম নেই এই তালিকায়। ’
শনিবারই অসমে প্রকাশিত হয়েছে চুড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি ৷ চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়েছে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের নাম ৷ এই মানুষগুলির ভবিষ্যত এখন প্রশ্নের মুখে ৷ অসম সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকায় যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁদের এখনই বিদেশি তকমা বা গ্রেফতার করা হবে না৷ কারণ, গোটা বিষয়টি এখনও আদালতের বিচারাধীন৷ তাঁরা নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণে বিদেশি ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হতে পারেন৷ আইনি সাহায্য নিতে পারেন ৷