শুধু এনআইএ-ই নয় অন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিও কংগ্রেস, আপ ইত্যাদি অবিজেপি পরিচালিত রাজ্যগুলির পিছনে উঠেপড়ে লেগেছে। তার হাতেগরম প্রমাণ দিনকয়েক আগে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের জামিন। শত্রুঘ্ন বলেন, মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত থেকে জামিন মঞ্জুর হয় এই শিবসেনা নেতার। আদালত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে তীব্র ভর্ৎসনাও করেছে, বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর জন্য। তবে প্রধানমন্ত্রী জানেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হলেন সেই নেত্রী, যিনি ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে গেম চেঞ্জারের ভূমিকা নিতে পারেন। মোদি নিজে ভয় পেয়েছেন বলেই বিভিন্নভাবে ওঁকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধেই সব থেকে বেশি ‘উইচ-হান্ট’ বা অকারণ হয়রানি করানোর হীন কৌশল নিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কিন্তু ভুলে যাবেন না, ওঁর বিরুদ্ধে যত আগ্রাসন হবে, জনমত ততটাই শক্তিশালী হয়ে তাঁর পাশে এসে দাঁড়াবে। সুতরাং এজেন্সি-রাজনীতিকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
advertisement
আরও পড়ুন: সিজিও কমপ্লেক্সে নতুন বিপদ, আতঙ্কে সিবিআই! চিঠি গেল পুরনিগমের কাছে
দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত বৈঠক, বিরোধী দলগুলির থেকে দলের ‘দূরত্ব’ তৈরি নিয়ে চর্চা ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তৃণমূলকে নিয়ে নানা প্রশ্ন দানা বেঁধেছিল। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির বিরুদ্ধে ‘সর্বাত্মক’ প্রতিবাদের কথা জানিয়ে গোটা বিষয়টিতে অন্য মাত্রা যোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: একদিকে মমতা, অন্যদিকে শুভেন্দু-সুকান্ত! ১৫ তারিখ বাংলায় 'মহারণ'
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, তাদের অভিযোগ, বিজেপি বিরোধী হলেই সক্রিয়তা, বিজেপি দলের কেউ হলেই নিষ্ক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির।