সৌমিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ভোটার কার্ডের সত্যতা জানতে যোগাযোগ করা হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ৷ বাংলাদেশি নাগরিক শান্তা পালের ভোটার কার্ড ও সৌমিকের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত ১৩টি ভোটার কার্ডের তথ্য দেওয়া হয়েছে সিইও দফতরে, কার্ডগুলোর সত্যতা জানতে চাওয়া হয়েছে ৷
advertisement
এছাড়া শান্তার বিবাহ বা ম্যারেজ সার্টিফিকেট সংক্রান্ত রিপোর্ট হাতে পেয়েছে লালবাজার ৷ সেটি ভুয়ো কী না, তা জানতে ম্যারেজ রেজিস্ট্রার অফিসে যোগাযোগ করে তথ্য চাওয়া হয়েছিল ৷ শেখ মমতাজউদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একাধিক স্কুল, পঞ্চায়েতের লেটার হেড ও সরকারি আধিকারিকদের নামে তৈরি রবার স্ট্যাম্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সংশ্লিষ্ট স্কুল ও পঞ্চায়েতে যোগাযোগ করা হয় ৷
শান্তা পালের এই রহস্যজনক ভূমিকার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ প্রায় প্রতিদিনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছে । এখনও পর্যন্ত শান্তা পাল কাণ্ডে সে-সহ মোট দু’জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা । কিছুদিন আগে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় শান্তা পাল । তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, সে পাসপোর্টের আবেদন করেছিল কিন্তু পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার আগে পুলিশ ভেরিফিকেশনে তদন্তকারীদের সন্দেহ হয় এবং তার অসংলগ্ন কথাবার্তার ফলে স্থানীয় পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয় । সেই ঘটনার ভিত্তিতে দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিন থানার আওতাধীন বিক্রমগড় এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে শান্তাকে গ্রেফতার করেছিল পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ । পরে ঘটনার তদন্তভার চলে যায় লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার হাতে ।