বৃহস্পতিবার দুই অভিযুক্তকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। দুই অভিযুক্তের উপস্থিতিতে নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করেন বিচারপতি ঘোষ এবং আদালত থেকেই দু'জনকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য ইডি- কে নির্দেশ দেন।
সেইমতো আদালত চত্বর থেকেই গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্ত শৈলেশ এবং প্রসেনজিৎ-কে। বিকেল তিনটার মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
advertisement
অনলাইনে বিদেশি মুদ্রার কেনাবেচা সংক্রান্ত পাঠ দেওয়ার পাশাপাশি আয়ের সুযোগের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল শৈলেশ পান্ডে। এক মাসে নিদিষ্ট দু’টি অ্যাকাউন্টে প্রায় ৭৭ কোটি টাকার লেনদেনও হয়েছিল। ভুয়ো নথি দিয়ে অন্যের নামে এই অ্যাকাউন্ট খুলে গোটা কারবার চালাচ্ছিল অভিযুক্তেরা। হাওড়ার শিবপুরে কোটি কোটি নগদ উদ্ধারের প্রাথমিক তদন্তে নেমে এমনই তথ্য হাতে পায় লালবাজার। যদিও ঘটনার পর ফেরার হয়ে যায় অভিযুক্ত শৈলেশ পাণ্ডে এবং তার দুই ভাই। অবশেষে, ২১ অক্টোবর পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী শৈলেশ পান্ডে। শৈলেশের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় তার ভাই অরবিন্দ পান্ডে, রোহিত পান্ডে ও এক সহযোগীকে। চারজনকেই গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড সেকশন।
ওড়িশা ও গুজরাতে তারা গা-ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্তরা। দু'জনকে গুজরাত ও বাকিদের রাউরকেল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়।