ব্রিগেডের মঞ্চে রাজনৈতিক নেতাদের চাঁদের হাট ৷ ‘মোদি হঠাও দেশ বাঁচাও’ স্লোগানে গমগম করছে গোটা ব্রিগেড চত্বর ৷ সেই মঞ্চ থেকেই মোদি-অমিত শাহকে ধ্বংস করার হুঙ্কার দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ তিনি বলেন, ‘‘মোদি-শাহ জুটি বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে ৷ চাকরি নেই ৷ দেশজুড়ে বেকারত্ব ৷ মোদি ধোঁকা দিয়েছেন, দেশের যুব সম্প্রদায়ের থেকে ভোট নিয়েছেন ৷ মোদির নোটবন্দির জেরে কয়েক কোটি মানুষের চাকরি গিয়েছে ৷ কৃষকেরা ঠকছে প্রতিটি পদে, আত্মহত্যা করছে, ফসল নষ্ট হচ্ছে ৷ মোদি ফসলের বিমা করিয়েছেন ৷ মোদির বন্ধুদের বিমা কোম্পানি ৷ তাঁরা হাজার হাজার কোটি টাকা রোজগার করেন ৷ কৃষক ফসলের দাম পায় না ৷ বিজেপি দেশের মহিলাদের গালিগালাজ করে ৷ প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই মানুষদের ফলো করেন ৷ দেশের মুসলমানদের উপর অত্যাচার ৷ গত ৭০ বছর ধরে পাকিস্তানের স্বপ্ন ছিল, এই দেশকে টুকরো টুকরো করবে ৷ তারা করতে পারেনি, কিন্তু, মোদি-শাহ জুটি তা পাঁচ বছরে করে দিয়েছে ৷ এই জুটি দেশকে ধ্বংস করে দেবে ৷ এরা ফের এলে দেশ বাঁচবে না, দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে ৷ দেশ টুকরো টুকরো হয়ে যাবে ৷ এই সরকারকে দিল্লি থেকে উৎখাত করতে হবে ৷ আমিত শাহ বলেছিলেন, ২০৫০ পর্যন্ত বিজেপির শাসন চলবে ৷ কেন বলেছিলেন ? এরা সংবিধান বন্ধ করে দেবে, নির্বাচন হবে না ৷’’
advertisement
একই সঙ্গে মোদিকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছেন কেজরিওয়াল- ‘‘হিটলার যা করেছিলেন তাই মোদি-শাহেরও সেই ইচ্ছা মনে মনে ৷ ২০১৯ সালে এই জুটিকে ক্ষমতায় আসতে দেবে না দেশের জনগণ ৷ তাহলে প্রধানমন্ত্রী কে হবে ? ২০১৯ সালের নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের নয় ৷ নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহকে তাড়ানোর নির্বাচন ৷ যাঁরা সত্যিকারের দেশভক্ত, তাঁদেরকে বলছি, ২০১৯ সালে এঁদেরকে তাড়ান ৷ এটাই সত্যিকারের দেশভক্তি ৷ আমি নিশ্চিত, মোদি-অমিত শাহ যাচ্ছে, দেশে অচ্ছে দিন আসছে ৷’’