এই সমাবেশের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শপথের সমাবেশ।’ যেখানে বক্তব্য পেশ করবেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস, রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, সভাপতি প্রতিকউর রহমান এছাড়াও থাকবেন ঐশী ঘোষ, আকাশ কর, দীপ্তজিৎ দাস, মৈনাক মুখার্জি প্রমুখরা।
কর্মসূচি সফল করার জন্য প্রায় ১ মাস ধরে সারা উত্তর ২৪ পরগণা জেলা জুড়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে প্রচার অভিযান চালানো হয়েছে সংগঠনের তরফে। পথসভা, মিছিলের পাশাপাশি দেওয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো হয়েছে।
advertisement
আশোকনগর শতবার্ষিকী কলেজ, ইস্ট ক্যালকাটা গার্লস কলেজ, স্বরুপনগরের নুরুল ইসলাম কলেজ, টাকি গভর্মেন্ট কলেজ থেকে মধ্যমগ্রামের বিবেকানন্দ কলেজের সামনে প্রচার অভিযান চালানো হয়েছে সংগঠনের তরফে।
এই প্রচার অভিযানে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে শাসকদলের ছাত্র সংগঠন আতঙ্কিত হয়ে আক্রমণ চালিয়েছে বলে অভিযোগ নেতৃত্বের। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে যে, বারাসাত গভর্নমেন্ট কলেজের সামনে যখন প্রচার করা হচ্ছিল তখন কয়েকজন দুষ্কৃতি এসে প্রচার করতে বাধা দেয়। ছিঁড়ে ফেলা হয় পোস্টার, লিফলেট। এরপরই হামলা চালায় সংগঠনের নেতাদের উপর।
আরও পড়ুন- ট্রেনের পর প্লেন বাতিলের অভিযোগ! কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে কটাক্ষ তৃণমূলের
এই দুষ্কৃতিরা শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের সদস্য। সংগঠনের জেলা সম্পাদক আকাশ কর জানিয়েছেন, “বারাসাতের বুকে এক ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশ হবে রবিবার। আমাদের দাবি অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে হবে।
গণ পরিবহনে ছাত্র ছাত্রীদের বিশেষ কনসেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির জন্যে আরও স্বচ্ছতা আনতে হবে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ করা সহ একাধিক দাবী নিয়ে এই সমাবেশ হবে।”
আরও পড়ুন- ওএমআর শিট প্রস্তুতকারকে তলব নিজামে, পাঁচ ঘন্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ
এর পরেই তিনি বলেন, “প্রচারে ছাত্রছাত্রীদের যা সারা পাওয়া গিয়েছে তাতে ভয় পেয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাতের ঘুম উড়ে গেছে। এরপর সমাবেশ দেখে বাকিটুকুও উড়ে যাবে। আর আমাদের চ্যালেঞ্জ, স্বচ্ছভাবে ছাত্র ভোট হোক। তাতে টিএমসিপি বিষয়টাই উড়ে যাবে।”