এই শিক্ষানীতিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির অনেকগুলি বিষয়বস্তুতে আস্থা রেখে একইরকম রাখা হলেও রাজ্যের ক্ষেত্রে যে আলাদাভাবে শিক্ষানীতির প্রয়োজন রয়েছে সে কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। তবে তার একদিনের মাথাতেই কেন্দ্র এবং রাজ্যের শিক্ষা নীতির প্রতিবাদে শহরের রাজপথে নামল বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই।
আরও পড়ুন : স্মৃতিশক্তি উধাও! জীবনের ছয় মাস হারিয়ে ফেলেছিলেন দিশা পাটানি
advertisement
জাতীয় শিক্ষানীতির নামে যে যে ভাষাগুলিতে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে তা আসলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হিন্দি চাপিয়ে দেয়ার একটা পন্থা বলে মনে করছে SFI নেতৃত্ব। আমাদের দেশে কোনও রাষ্ট্রভাষা নেই, হিন্দি অফিসিয়াল ভাষা হলেও অন্যান্য প্রত্যেকটি ভাষার সমান গুরুত্ব রয়েছে আমাদের দেশে।
আরও পড়ুন : বিপথগামী কুকুরদের সহায় বিক্রম! নয়া অবতারে চিনতে পারছেন অভিনেতাকে?
জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রস্তাবিত নীতিগুলি হিন্দি এবং সংস্কৃতকে কিছুটা জোর করে চাপিয়ে দিতে চাইছে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর। এ কথা বলে জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেন এসএফআই এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নেওয়া সব সরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে এক ইউনিফর্ম নীতির প্রতিবাদ করেন তাঁরা।
প্রত্যেকটি সরকারি স্কুলে নীল সাদা ইউনিফর্ম এর পাশাপাশি তাতে বিশ্ব বাংলার লোগো লাগানোর সিদ্ধান্ত অনৈতিক বলে দাবি করেন তাঁরা। স্কুলগুলির ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে তাঁদের নিজস্ব ইউনিফর্ম রাখা উচিত বলে দাবি করে এসএফআই নেতৃত্ব। রবিবার বিকেলে এই দাবিগুলিকে সামনে রেখে সিটু দফতর শ্রমিক ভবনের সামনে থেকে মৌলালি মোড় পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেন এসএফআই-এর রাজ্য কমিটির সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, এর আগেও জাতীয় শিক্ষানীতির প্রতিবাদে সর্বভারতীয় স্তরে জাঠা আয়োজন করে এসএফআই। বিকল্প শিক্ষানীতি কি হতে পারে সেই বিষয়ে একটি খসড়াও প্রকাশ করেন তাঁরা। নভেম্বর ডিসেম্বর মাস জুড়ে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।