গত ৫ জুন সংগঠনের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে ‘মাস মিটিং’-এর আয়োজন করা হয়েছিল। সংগঠনের কলকাতা জেলা সভাপতি দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘‘ট্রাম মানে পরিবেশবান্ধব, গরীব-মধ্যবিত্ত মানুষের যানবাহন। সরকার বাহাদুর চেষ্টা করছে ট্রাম পরিষেবা তুলে দিতে। ট্রাম লাইনে পিচ ঢেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একের পর এক ট্রামরুট। ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপক অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে গণপরিবহনের ক্ষেত্রে। কলকাতার ছাত্রসমাজের স্লোগান তাই, ট্রাম বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও।’’
advertisement
আরও পড়ুন-কেটলি থেকে চা ঢাললে কোন কাপটি সবার আগে ভরবে? মজার এই ধাঁধার উত্তরটা বার করতে পারবেন কি?
এর আগে ট্রাকে ট্রাম ফেরাতে রাস্তায় নেমেছিল সিপিআইএম। কলকাতার রাস্তায় ট্রামের সংখ্যা কমায় রাজ্য সরকারের উপর এর দায় চাপিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল সিপিআইএম কলকাতা জেলা কমিটি। ট্রামের কলকাতায় চলায় ১৫০ বছর পুর্তি উপলক্ষে কলকাতায় কর্মসূচিও করা হয়। সেদিনই এই ঐতিহ্যমণ্ডিত যানকে তুলে দেওয়ার অভিযোগে সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটির ডাকে কলকাতার ১০টি ট্রাম ডিপো এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হয় দলের তরফে।
পার্টি নেতৃত্বের দাবি, সাধারণ মানুষের স্বার্থে যে কোনওভাবেই ট্রামকে বাঁচাতে হবে। এর জন্যে অবিলম্বে পুরনো সমস্ত ট্রাম রুটগুলি চালু করতে হবে। সরকারি ব্যয় বরাদ্দে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে ট্রামের সম্পদ ও জমিকে। না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে। কলকাতার উল্টোডাঙ্গা, বেলগাছিয়া, রাজাবাজার, ধর্মতলা, নোনাপুকুর, গড়িয়াহাট, বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ, কালীঘাট, খিদিপুর ট্রামডিপোর সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল।
দেশের মধ্যে একমাত্র কলকাতায় ট্রাম চলে। কলকাতার মানুষের আবেগও জড়িয়ে আছে এই ট্রামের সঙ্গে। পরিবেশ বান্ধব যান হিসেবেও এই যানের গ্রহণযোগ্যতা আছে। একই সঙ্গে কম ভাড়ায় ট্রাম ব্যবহার করতে পারেন নিত্যযাত্রীরা। কিন্তু ধীর গতির যান হওয়ায় এর ব্যবহার অনেকটাই কমেছে। বেশকিছু রুটে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে ট্রাম। আর এই ট্রাম বন্ধ হওয়ার পিছনে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের উপর দায় চাপাচ্ছে সিপিআইএম। সেইসব রুটে ট্রাম চালানোর দাবিতে রাস্তায় নেমেছে সিপিআইএম। জ্বালানির দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একদিকে যেমন যানবাহনের ভাড়া বেড়েছে তেমনই রাস্তায় চাহিদার তুলনায় গাড়ি কমেছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন বহু যাত্রী। আবেগের পাশাপাশি প্রয়োজনীয়তার খাতিরে এই অংশের মানুষের কাছেও পৌঁছতে ট্রামকেই ব্যবহার করতে চাইছে দল। একই সঙ্গে এই আন্দোলনে শহরের পরিবেশে সচেতন মানুষকেও পাশে পাওয়া যাবে বলে মনে করছে নেতৃত্ব ৷