World Poorest Country: নেই কাজের সংস্থান! চরমে পৌঁছেছে খাবারের অভাবও! তীব্র দারিদ্র্যের জ্বালায় জর্জরিত বিশ্বের এই দেশ

Last Updated:
World Poorest Country: স্বাধীনতার পর থেকেই গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়ে। অথচ স্বাধীনতার আগে কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ ভালই ছিল।
1/6
বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলির মধ্যে অন্যতম বুরুন্ডি। এমনকী পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিকে পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশের তকমাও দেওয়া হয়। এমনিতে আমরা বিশ্বের ধনী দেশগুলি এবং সেখানকার মানুষের জীবনযাপনের ধরনের কথা শুনে থাকি। কিন্তু চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়তে থাকা দেশগুলির অবস্থা কেমন আর সেখানকার বাসিন্দাদের জীবনযাপনের ধারাই বা কেমন, সেই গল্পই আজ শুনে নেওয়া যাক।
বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলির মধ্যে অন্যতম বুরুন্ডি। এমনকী পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিকে পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশের তকমাও দেওয়া হয়। এমনিতে আমরা বিশ্বের ধনী দেশগুলি এবং সেখানকার মানুষের জীবনযাপনের ধরনের কথা শুনে থাকি। কিন্তু চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়তে থাকা দেশগুলির অবস্থা কেমন আর সেখানকার বাসিন্দাদের জীবনযাপনের ধারাই বা কেমন, সেই গল্পই আজ শুনে নেওয়া যাক।
advertisement
2/6
 পূর্ব আফ্রিকার বুরুন্ডিতে এক সময় শাসন চালাত ব্রিটেন এবং আমেরিকা। ১৯৯৬ সালে স্বাধীন হয়েছিল এই দেশটি। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকেই গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়ে। অথচ স্বাধীনতার আগে কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ ভালই ছিল।
পূর্ব আফ্রিকার বুরুন্ডিতে এক সময় শাসন চালাত ব্রিটেন এবং আমেরিকা। ১৯৯৬ সালে স্বাধীন হয়েছিল এই দেশটি। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকেই গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়ে। অথচ স্বাধীনতার আগে কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ ভালই ছিল।
advertisement
3/6
আসলে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এই দেশে বড়সড় গোষ্ঠী সংঘর্ষ চলেছিল। ওই সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিল প্রচুর মানুষ এবং এর জেরে দেশের অর্থনীতিও ভেঙে পড়ে। ফলে ধীরে ধীরে বুরুন্ডি অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলির তালিকায় গিয়ে পৌঁছয়। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় হয় যে, তা বিশ্বের দরিদ্রতম দেশের তালিকার শীর্ষে চলে এসেছে।
আসলে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এই দেশে বড়সড় গোষ্ঠী সংঘর্ষ চলেছিল। ওই সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিল প্রচুর মানুষ এবং এর জেরে দেশের অর্থনীতিও ভেঙে পড়ে। ফলে ধীরে ধীরে বুরুন্ডি অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলির তালিকায় গিয়ে পৌঁছয়। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় হয় যে, তা বিশ্বের দরিদ্রতম দেশের তালিকার শীর্ষে চলে এসেছে।
advertisement
4/6
আফ্রিকা মহাদেশের শুধু বুরুন্ডিই নয়, মাদাগাস্কার, সোমালিয়া এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকও দরিদ্রতম দেশের তালিকায় রয়েছে। বর্তমানে দরিদ্রতম দেশ বুরুন্ডিতে প্রায় ১২ মিলিয়ন অর্থাৎ ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষের বাস। আর এর মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ শুধু দারিদ্র্যই নয়, বরং চরম দারিদ্র্যের মধ্যেই দিন গুজরান করে।
আফ্রিকা মহাদেশের শুধু বুরুন্ডিই নয়, মাদাগাস্কার, সোমালিয়া এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকও দরিদ্রতম দেশের তালিকায় রয়েছে। বর্তমানে দরিদ্রতম দেশ বুরুন্ডিতে প্রায় ১২ মিলিয়ন অর্থাৎ ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষের বাস। আর এর মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ শুধু দারিদ্র্যই নয়, বরং চরম দারিদ্র্যের মধ্যেই দিন গুজরান করে।
advertisement
5/6
 বুরুন্ডির অধিকাংশ নাগরিকের জীবন-জীবিকা কৃষিকাজের উপরেই নির্ভরশীল। ইউটিউব চ্যানেল রুহি সেনেটের তথ্য অনুযায়ী, এই দেশের মানুষের বার্ষিক আয় ১৮০ ডলার অর্থাৎ বছরে ১৪ হাজার টাকা। এখানেই শেষ নয়, বুরুন্ডিতে প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জন বেকার। এমনকী সারা দিন হাড়ভাঙা খাটুনি খেটেও এখানকার অধিকাংশ মানুষ দৈনিক ৫০ টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে পারছেন না।
বুরুন্ডির অধিকাংশ নাগরিকের জীবন-জীবিকা কৃষিকাজের উপরেই নির্ভরশীল। ইউটিউব চ্যানেল রুহি সেনেটের তথ্য অনুযায়ী, এই দেশের মানুষের বার্ষিক আয় ১৮০ ডলার অর্থাৎ বছরে ১৪ হাজার টাকা। এখানেই শেষ নয়, বুরুন্ডিতে প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জন বেকার। এমনকী সারা দিন হাড়ভাঙা খাটুনি খেটেও এখানকার অধিকাংশ মানুষ দৈনিক ৫০ টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে পারছেন না।
advertisement
6/6
রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং অন্যান্য সংস্থা বিশ্বের বহু দরিদ্র দেশের জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি চালায়। তা সত্ত্বেও বুরুন্ডি-সহ দরিদ্র দেশগুলির অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যেখানে চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে প্রাণের সন্ধান করা হচ্ছে, সেখানে এই সব দরিদ্র দেশের মানুষগুলো জীবনধারণের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধাটুকু পর্যন্ত পায় না।
রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং অন্যান্য সংস্থা বিশ্বের বহু দরিদ্র দেশের জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি চালায়। তা সত্ত্বেও বুরুন্ডি-সহ দরিদ্র দেশগুলির অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যেখানে চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে প্রাণের সন্ধান করা হচ্ছে, সেখানে এই সব দরিদ্র দেশের মানুষগুলো জীবনধারণের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধাটুকু পর্যন্ত পায় না।
advertisement
advertisement
advertisement