পারিবারিক চাপে আত্মঘাতী ? ডিসি ডিডি স্পেশালের নেতৃত্ব শুরু হয়েছে তদন্ত। বাবা-মায়ের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল কৃতিকা। ৩ পাতার সুইসাইড নোটে সেই ক্ষোভের উল্লেখ রয়েছে, রয়েছে আত্মহত্যার বিস্তারিত বিবরণও। এই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে কৃতিকার গতিবিধি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ফুটেজে দেখা যায়, ব্লেড,প্লাস্টিক পকেটে ভরছে কৃতিকা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সুইসাইড নোটের হাতের লেখার সঙ্গে পরীক্ষার সময় কৃতিকার হাতের লেখা মেলানো হবে। দেখা হবে কয়েকজন শিক্ষিকার হাতের লেখাও । লালবাজারে ডাকা হতে পারে প্রধান শিক্ষিকাকেও।
advertisement
দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী কৃতিকা পাল। বাড়ি পাটুলিতে। দক্ষিণ কলকাতার এই স্কুলে সে মর্নিং সেকশনে পড়ত। ছুটি হয় তিনটে কুড়িতে।শুক্রবার দুপুরে কয়েকজন ছাত্রী স্কুলের শৌচাগারে যায়, দেখে শৌচাগারের দরজা বন্ধ। সঙ্গে সঙ্গে তারা শিক্ষকদের খবর দেয়। ভাঙা হয় দরজা...শৌচাগারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে মেধাবী ছাত্রী কৃতিকা। বাঁ হাতের শিরা কাটা। মুখ থেকে গলা পর্যন্ত প্লাস্টিক জড়ানো। তখনও কৃতিকা বেঁচে ছিল। তাকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে সেখানেই কিছুক্ষণ পরে তার মৃত্যু হয়।
ডিসি ডিডি স্পেশালের নেতৃত্ব শুরু হয়েছে তদন্ত। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের। বছর দেড়েক আগে দক্ষিণ কলকাতার এই স্কুলেই এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তারপর বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। তার ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্কুলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক দল।