'স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি এমন ঘটনা ঘটবে। রাস্তার চারদিকে সাত-সাতটা রক্তাক্ত দেহ পড়ে। চোখের সামনে ওই দৃশ্য দেখে ভুলতে পারছি না।' এমনটাই জানালেন সরশুনার এক বাসিন্দা। বেহালা সড়াশুনার রাখাল মুখার্জী রোডে। এখানেই ঘটে গেল ভয়াবহ সেই ঘটনা! গাছ থেকে পেঁপে পাড়া ও পাঁচিলের বাউন্ডারি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাত জনকে ধারালো অস্ত্রের কোপ!
advertisement
শনিবারের দুপুরে গাছ থেকে পেঁপে পাড়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলা বাধে তিন প্রতিবেশীর মধ্যে। পাঁচিলের বাউন্ডারি দেওয়া এবং গাছের পেঁপে পাড়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত। দুপুর দুটো নাগাদ বেরিয়ে এসে প্রদীপ নিজের দোকান থেকে কাটারি নিয়ে প্রতিবেশীদের কোপাতে শুরু করে। প্রথমে সঞ্জয় ঘোষ ও সুমিতা ঘোষকে এলোপাথাড়ি কোপায়। এরপর পরিমল মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, চঞ্চল মুখোপাধ্যায়, সাথী মুখোপাধ্যায়, পাপিয়া মুখোপাধ্যায়কে কোপায়।
রাস্তায়, বাড়ির গেটে চাপ চাপ রক্তের দাগ। রাস্তা ভাসছে রক্তে। স্থানীয়দের দাবি, মোট ৭ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের বিদ্যাসাগর হাসপাতালে থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম-এ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এর আগেও প্রদীপ ইটপাটকেল ছুঁড়ে মেরেছিল। স্থানীয়রা গণপিটিশন জমা দেয় থানায়। অন্য এক বাসিন্দা জানান, '' বেরিয়ে দেখি আমার ফ্ল্যাটের সামনে এক মহিলা পড়ে রয়েছেন, রক্ত বের হচ্ছে, হাতে কোপ লেগেছে।'' প্রতিবেশীরাই সরশুনা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে ৭ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সরশুনা থানা ও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সাংগ্রহ করে। রাস্তায় পড়ে থাকা জুতো, চুল, রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ।