#কলকাতা: কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত । সাত পুলিশকর্মীকে বদলি করা হল জুনিয়র ডাক্তারকে মারধরের ঘটনায়। গত ৬ই নভেম্বর কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইএনটি বিভাগের পিজিটি চিকিৎসক বুলবুল শেখ হাসপাতালেরই ইএনটি আউটডোরে টিকিট কাটতে যান৷ সেই সময়ই লাইনে দাঁড়ানো অন্য রোগী ও তাদের আত্মীয়রা আপত্তি জানান। বচসা শুরু হয় জুনিয়র ডাক্তার বুলবুল শেখ ও তাদের মধ্যে। সেখানে উপস্থিত হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীও বাধা দেন বুলবুল শেখকে। এরপর গন্ডগোল আরও বাড়লে মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশকর্মীরা এসে টেনে হিঁচড়ে বুলবুল সেখকে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান। অভিযোগ সেখানে চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও বুলবুল শেখকে কোন রেয়াত করা হয় না। যথেচ্ছভাবে তাকে মারধর করে ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা।
advertisement
এই খবর জানাজানি হতেই গোটা মেডিকেল কলেজ জুড়ে জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন বিভাগে কাজ বন্ধ করে দেয় হাসপাতালের অন্যতম স্তম্ভ জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনকি জরুরী বিভাগেও রোগীদেরকে দেখা ও ভর্তি করাও বন্ধ করে দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। চূড়ান্ত অচলাবস্থা ছড়িয়ে পড়ে গোটা মেডিকেল কলেজ জুড়ে। তড়িঘড়ি হাসপাতালের অধ্যক্ষ, সুপার,ডেপুটি সুপার, উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা বৈঠক শুরু করেন। ছুটে আসেন কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার, বউবাজার থানার ওসি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের একটা বড় অংশ কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন । একাডেমিক বিল্ডিং এ চূড়ান্ত ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয় অসংখ্য রোগীদের। এরপরই বিকেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশ ও জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে দীর্ঘক্ষন বৈঠক চলে।
আরও পড়ুন#ViralVideo'মেয়ের বয়সি মহিলার পা**-র ভিডিও তুলছেন ফোনে,লজ্জা নেই?'মেট্রোয় তুলকালাম
সেখানেই জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি তোলেন অবিলম্বে দোষী পুলিশকর্মীদের হাসপাতাল থেকে সরিয়ে দিয়ে তাদের শাস্তি দিতে হবে। শেষমেশ সিদ্ধান্ত হয় পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে । এরপরই সন্ধ্যায় হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি উঠিয়ে নেওয়া হয় । সেই ঘটনাতেই কলকাতা মেডিকেল কলেজের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ সাত পুলিশকর্মীকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লালবাজার সূত্রের খবর ,এটি রুটিন বদলি। অনেকদিন ধরে একই জায়গায় এই পুলিশকর্মীরা মোতায়েন ছিল, তাদেরকে অন্যত্র বদলি করার সিদ্ধান্ত নেহাতই নিয়মমাফিক। যদিও হাসপাতাল সুপার ডক্টর ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান,এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষী পুলিশ কর্মীদের কে চিহ্নিত করা হয়েছিল ;তাদের বদলি সিদ্ধান্ত অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ঘটনা। চিকিত্সক মহল সূত্রে খবর ,এনআরএস হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।