শুভেন্দুর তরফে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁর পরিবারকে হেনস্থার উদ্দেশ্য নিয়ে আজকের সভার আয়োজন করছে তৃণমূল। এ নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। তবে আদালত শর্তসাপেক্ষে অভিষেকের সভার অনুমতি দিয়েছে। আজকের সভায় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য সচেষ্ট জেলা পুলিশ।
আরও পড়ুন : অবশেষে শীতের পদধ্বনি, আজ কলকাতায় এই মরশুমের শীতলতম দিন
advertisement
অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সভার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছেন খোদ পুলিশ সুপার। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ‘শান্তিকুঞ্জ’-এ সুরক্ষার পাশাপাশি শব্দবিধির বিষয়টিও নজরে রাখা হবে।”শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ ছিল, তৃণমূল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে সভা করছে। বাড়িতে তাঁর অশীতিপর বাবা-মা থাকেন। সভা থেকে শব্দদূষণ হতে পারে। পাশাপাশি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর বাড়িতে ঢুকিয়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন : আলোকিত ঐতিহ্য, কলকাতার হেরিটেজ ওয়ান ভবনগুলিতে এ বার সারা বছরই 'দীপাবলি'
শেষ পর্যন্ত আদালত ওই সভা বাতিলের নির্দেশ না দিলেও বেশ কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। জানানো হয়েছে, শনিবার সভা চলাকালীন কেউ যেন ‘শান্তিকুঞ্জ’-এ ঢুকে পড়তে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে জেলা পুলিশকে। বাড়ির কর্তা শিশির অধিকারী বা শুভেন্দু অধিকারীর আগাম অনুমতি ছাড়া বাইরের কেউ যেন আজ বাড়িতে ঢুকে না পড়েন, সেটাও পুলিশকে দেখতে বলা হয়েছে। সকাল থেকেই কাঁথির সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড থেকে শান্তিকুঞ্জ অবধি রাস্তায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তার বিভিন্ন মোড়েও যাতে যানজট না হয় তার জন্য পুলিশ মোতায়েন থাকছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী দু'জনেই বিশেষ নিরাপত্তা পান৷ তাই সেই বিষয়ে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।