অতীতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের যখনই কোনও বাধা এসেছে তখনই কেন্দ্রের তরফ থেকে তৎকালীন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় সমাধানে এগোতেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও জট কাটাতে আলোচনার টেবিলে বসেছেন। যখন তিনি আসানসোলের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠেই মেট্রোর কাজে গতি আনতে তিনি রাজনীতির রং ভুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক ও ঝালমুড়ি খেয়ে সমালোচিতও হয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- শাহরুখ করোনা পজিটিভ, ট্যুইটবার্তায় যা লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বর্তমানে সেই বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলের বিধায়ক। রবিবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদে নামার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় বলেন, আমি কোনও রকম রাজনীতির রং না দেখেই মেট্রোর কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় তার জন্যই রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেছিলাম। কলকাতার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজের তদারকির দায়িত্ব তাঁকে দেওয়ার পর থেকেই দ্রুত কাজ এগোচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানে কলকাতার মেট্রো সম্প্রসারণের কাজের গতি দেখে সন্তুষ্ট নন বাবুল সুপ্রিয়। একদিকে বউবাজারে মেট্রো টানেল তৈরিতে ক্রমাগত হোঁচট খাওয়া আর অন্যদিকে শিয়ালদা স্টেশন সম্পূর্ণ তৈরি থাকলেও কেন এখনও উদ্বোধন করা হচ্ছে না সে ব্যাপারেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাবুল সুপ্রিয়।
আরও পড়ুন-ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা উত্তরাখণ্ডে, বাস খাদে পড়ে বহু তীর্থযাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা
প্রসঙ্গত , মার্চ মাসের মাঝামাঝি প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি এসে পরিদর্শনও করে গেছেন স্টেশন। বেশ কয়েকটি বিষয়ের বদলের কথাও তিনি তাঁর রিপোর্টে উল্লেখ করেছিলেন। সেই অনুযায়ী তা বদলও করা হয়। অবশেষে যাত্রী পরিবহণের জন্য শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন চালুর অনুমতি দেয় কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। যদিও শিয়ালদা মেট্রো স্টেশন উদ্বোধনের একাধিক ডেটলাইন মিস হয়েছে। আর এরই মধ্যে একসময়ের মোদি মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তাঁর পুরনো দল ও কেন্দ্রীয় সরকারের টালবাহানা- বঞ্চনা প্রসঙ্গে সরব হয়ে বললেন, 'সবক্ষেত্রেই রাজনীতি ঠিক নয়। বাংলার প্রাপ্য বকেয়া মেটানো হোক। আর বিজেপি যদি ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন উদ্বোধন করিয়ে তারা রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবে। তবে তাই হোক। কিন্তু অবিলম্বে মানুষের স্বার্থে উদ্বোধনটা হোক।
বাংলায় যতই বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করুক না কেন বাংলার মানুষ যে এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছেন তা ফের আগামী দিনই বুঝিয়ে দেবে। বঙ্গ বিজেপি নেতাদের খোঁচা দিয়ে বললেন বাবুল সুপ্রিয়।