বিকেল চারটে পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পথের বর্তমান ভিভিআইপি স্টেশনে যাত্রী হয়েছে ৬৪৯৮ জন ৷ যা থেকে আয় হয়েছিল টিকিট বিক্রি করে বা স্মার্ট কার্ড ছুঁয়ে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৫০ জন ৷ বিকেল ৫টা-র সময় যাত্রীসংখ্যা ছিল শিয়ালদহ থেকে ৭৪০৬ জন। দিনের শেষের হিসেব বলছে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনে যাত্রী হয়েছে ১২৬৮১ জন ৷ শিয়ালদহ স্টেশন থেকে আয় হয়েছে টিকিট বিক্রি করে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৫ টাকা।
advertisement
আরও পড়ুন- কাউন্টার থেকে ভাড়া মিটিয়ে টোকেন নিয়ে নতুন মেট্রো পথে সফর করলেন সুকান্ত মজুমদার
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু হয় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। ট্রেন চলত সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত। এরপর অক্টোবরে ট্রেন দৌড়য় ফুলবাগান পর্যন্ত। দীর্ঘ লকডাউনের ধাক্কা সামলে যাত্রী সে অর্থে হয়নি ইস্ট-ওয়েস্ট প্রকল্পে। ফলে আধুনিক মানের পরিকাঠামো তৈরি করেও রেলের আয় ব্যয়ের মধ্যে সমতা রক্ষা করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। ধারণা করা হয়েছিল মেট্রোর চাকা পাতালে শিয়ালদহ অবধি গড়ালে যাত্রী আসবে হু হু করে ৷ তাই সকাল ৬ঃ৫৫ থেকে রাত ৯ঃ৩৫ পর্যন্ত মেট্রো দৌড়ের ব্যবস্থাও করা হয়। তবে যাত্রী ও আয়ের নিরিখে অপারেটিং রেশিও বদলানোর মতো সাফল্য দিতে পারল না শিয়ালদহ। কথায় আছে ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’। মেট্রো আধিকারিকরা অবশ্য হাল ছাড়তে রাজি নয়। তাদের বক্তব্য ধীরে ধীরে বাড়বে যাত্রী ৷
আরও পড়ুন- বর্ধমানে বিষমদ কাণ্ডের তদন্তে ফরেন্সিক টিম, কী কী নমুনা সংগ্রহ করলেন তাঁরা?
সামনে পুজোর মরশুম আসছে ৷ সেখানেও লাভ আসবে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর যাত্রা পথে। কিন্তু যাত্রী কম হল কেন? মেট্রো আধিকারিকরা মনে করছেন, প্রচার হলেও সবাই এখনও জানতে পারেনি মেট্রোর শিয়ালদহ যোগ। ফলে অনেকেই উল্টোডাঙ্গা, বিধাননগর বা পার্ক সার্কাসে নেমে বাস বা অটো ধরে নিচ্ছেন।
এ ছাড়া পূর্ণ মাত্রায় বাসের ভাড়া ১৫ টাকায়। শিয়ালদহ মেট্রোয় সেই ভাড়া সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত যেতে নেয় ২০ টাকা। অটোয় অবশ্য ৩০ টাকা ভাড়া বিধাননগর স্টেশন থেকে সেক্টর ফাইভ ৷ সেটা শিয়ালদহ থেকে মেট্রোয় গেলে ১০ টাকা সাশ্রয়। কিন্তু লেক রোড বা ওয়েবেল আসতে গেলে সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশন থেকে আরও ১০ টাকা খরচ। তাই অনেকেই ব্যাপার বুঝে নিতে চাইছেন।