রাজস্ব উৎপাদন ছাড়া এই টিকিট চেকিং-এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল বৈধ টিকিট কেনার গুরুত্ব সম্পর্কে যাত্রীদের শিক্ষিত করা। মোবাইলে UTS-এর মতো ডিজিটাল টিকিটিং প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার প্রচার করে সমস্ত যাত্রীদের জন্য একটি নির্বিঘ্ন এবং সুবিধাজনক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দেওয়া।টিকিটের লাইন এড়াতে এটিভিএম, কিউআর কোড স্ক্যানারের ব্যবহার করা ও ঝামেলামুক্ত বুকিং, সময় বাঁচানো, কাগজবিহীন ভ্রমণ এর সুবিধা সম্পর্কে অবগত করা। শিয়ালদার ডিআরএম দীপক নিগম সমস্ত যাত্রীদের কাছে রেল কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার এবং অনুমোদিত চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধ টিকিট কেনার আহ্বান জানিয়েছেন।
advertisement
অটোমেটিক টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (এটিভিএম), মোবাইল অ্যাপ, কিউআর কোডে টিকিট কাটার সুবিধা এবং স্টেশনের বাইরে বিভিন্ন দোকান থেকে লোকাল ট্রেনের টিকিট কাটার পরিষেবা সত্ত্বেও কমানো যাচ্ছে না বিনা টিকিটে ট্রেনে চাপার প্রবণতা। দেশের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন শিয়ালদহে এমন বিনা টিকিটের যাত্রীরাই টিকিট পরীক্ষকদের হাতে ধরা পড়ছেন অর্থাৎ দিনে গড়ে ২ হাজারের বেশি।
পূর্ব রেলের বাণিজ্য বিভাগ যথাযথ ভাবে টিকিট না কেটে ট্রেনে চাপার এই মানসিকতায় চিন্তিত। যদিও বিনা টিকিটের যাত্রীদের থেকে ন্যূনতম ২৫০ টাকা জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়। এর ফলে রেলের ‘লক্ষ্মীলাভ’ ভাল হয়। সংস্থা জানাচ্ছে, ২০২৩-এর ১ অগাস্ট থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সময়সীমায় শিয়ালদহে ৩৫ হাজার বিনা টিকিটের যাত্রী ধরা পড়েছিলেন। এক বছরে এখানে বিনা টিকিটের যাত্রীর সংখ্যা ১৬ শতাংশ বেড়েছে। জরিমানা হিসেবে আদায় করা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন : তিস্তাপারের শহর থেকে কুমেরুতে! অ্যান্টার্কটিকায় ৪০০ দিন কাটালেন তরুণ বাঙালি ভূবিজ্ঞানী
পূর্ব রেলের তরফ থেকে যাত্রীদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে যথাযথ টিকিট কেটে সসম্মানে ট্রেনে ভ্রমণ করার জন্য।সাধারণত যাঁরা বিনা টিকিটে ধরা পড়েন তাঁদের অনেকেই সময়ের অভাবে টিকিট না কাটতে পারার কথা জানিয়ে থাকেন।তবে যাত্রীদের টিকিট কাটার সুবিধার্থে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রেল।