স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন ২০১২ সালের পর থেকে স্কুল শিক্ষার পাঠক্রমে বড় রদবদল করা হয়েছিল। তারপর থেকে সে অর্থে রদবদল না হলেও ফের সেই রদবদলের পথেই হাঁটছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে নয়া শিক্ষানীতি জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একলাফে ৫০ হাজার…! বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আসছে বিল, বিশেষ অধিবেশনে সিলমোহর
advertisement
নয়া শিক্ষানীতিতে অষ্টম শ্রেণীর পর থেকে সেমিস্টার ব্যবস্থা নিয়ে আশার কথা বলা হয়েছে। নয়া শিক্ষানীতির কথা মাথায় রেখেই রাজ্যের তরফে সিলেবাস কমিটিতে এই বড়সড়ো রদবদল করা হল বলে মনে করা হচ্ছে। সিলেবাস কমিটির উপদেষ্টা হিসাবে অধ্যাপক সুমিত চক্রবর্তী এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক অভিক মজুমদারকে রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি, ভূগোল, অঙ্ক, বায়োলজি, ইতিহাস, কর্মশিক্ষা, শারীর শিক্ষা, ফিজিক্স,কেমিস্ট্রির মত বিষয়গুলিতেও বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করা হয়েছে। বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করার পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিষয়ে উপদেষ্টদেরও নিয়োগ করা হয়েছে। মূলত এই উপদেষ্টাদের তত্ত্বাবধানে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন বিষয়ের সিলেবাস পরিবর্তন বা সিলেবাসে নতুন কি অংশ যুক্ত করা যায় সেই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দেবে।
রাজ্যে নতুন শিক্ষানীতি কার্যকর করার পর থেকেই প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে ফের সিলেবাস বদলের দাবি উঠেছে। ইতিমধ্যেই উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সিলেবাস বদল-সহ পরীক্ষা ব্যবস্থায় বদল করার জন্য রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
মাধ্যমিকেও সেমিস্টার সিস্টেম চালুর কথা উল্লেখ রয়েছে রাজ্যের নয়া শিক্ষানীতিতে। সেক্ষেত্রে এও জল্পনা রয়েছে মাধ্যমিক স্তরেও ফের রদবদল করা হতে পারে সিলেবাসে। সূত্রের খবর খুব শীঘ্রই সিলেবাস কমিটির নব নিযুক্ত সদস্যরা বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে বসে আগামী দিনে সিলেবাস কমিটির প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সিলেবাস নিয়ে কী কী কাজ করা হবে তা নিয়ে, রূপরেখা তৈরি করা হবে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়