করোনাকালে স্কুলগুলোতে দেখা মিলবে এই ঘরের। এই ঘরের অর্থ হলো সবার থেকে নিজেকে বা নিজেদের আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা। সাধারণত জ্বর, সর্দি-জ্বর-কাশি হলেও এতদিন এ হেন ব্যবস্থা ছিল না। করোনাকালে করোনার বেশ কয়েকটি নমুনার মধ্যে জ্বর - কাশি -সর্দিকে ভালো চোখে দেখছেন না চিকিৎসকেরা। সোমবার সেই আইসোলেশন সেন্টারের কথাই জানালেন ডন বসকো পার্ক সার্কাসের ফাদার বিকাশ মন্ডল।
advertisement
তিনি জানান, কোনও পড়ুয়ার যদি করোনার মত উপসর্গ দেখা যায় বা অসুস্থ বোধ করে তাহলে স্কুলের মধ্যে নতুন তৈরি হওয়া আইসোলেশন সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হবে। সেই সেন্টারে থাকছে চারটি বিছানা সহ অক্সিজেনের ব্যাবস্থা। ঐ ঘরে স্কুল চালাকালীন সময়ে থাকবে চিকিৎসক ও একজন করে নার্স। গুরুতর সমস্যা হলে আইসোলেশন সেন্টারে এনে নামী চিকিৎসকদের সঙ্গে টেলিমেডিসিনের সাহায্য নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-৪০০ মানুষ মিলে নাবালিকাকে ধর্ষণ, পুলিশও ছাড়েনি, করুণ কাহিনী নিজের মুখে বয়ান
পার্ক সার্কাস ডন বসকোর মত শহরের প্রায় বেশিরভাগ স্কুলেই থাকছে এই সেন্টার। এছাড়াও স্কুলের কতৃপক্ষের তরফে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে স্যানিটেশনের দিকে। মঙ্গলবার স্কুল খেলার আগে সোমবার স্কুলের প্রায় সর্বত্র স্যানিটেশন ও দুরত্ব বিধি বজায় রাখার নিয়মগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হল। ক্লাস রুমগুলোতে বদল আনা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে পড়ুয়াদের যা আসনসংখ্যা ছিল তার অর্ধেক সংখ্যা করে দেওয়া হয়েছে, দুরত্ব বিধি বজায় রাখার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছে প্রায় সব স্কুলগুলো। মঙ্গলবার থেকে যদিও নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের ক্লাস করার অনুমতি মিলেছে।
আরও পড়ুন-নজির গড়ছে দেশ! সমকামী আইনজীবী হতে চলেছেন হাই কোর্টের বিচারপতি, সুপ্রিম সুপারিশ...
পার্ক সার্কাস ডন বসকোর তরফে জানানো হয়েছে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হওয়ায় আপাতত নবম ও একাদশ শ্রেণীর ক্লাস হবে। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সুরক্ষার জন্য নবম ও একাদশ শ্রেণীর ক্লাস হবে ভিন্ন দিনে।