প্রাথমিকভাবে রাজ্য পরিবহণ দফতর যে তালিকা তৈরি করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে কলকাতা শহরের বেশ কয়েকটি নামী স্কুলের বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই। কলকাতার জোকায় রয়েছে একটি স্কুল যারা নিজেরা বাস চালায় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। সেই স্কুলের ১০ টি বাস গত তিন বছর ধরে চলছে ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া। একই সঙ্গে এই সবকটি বাসের ট্যাক্স সহ বাকি সবকিছু বাকি পড়ে রয়েছে। রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “আমরা বিগত তিন মাস ধরে বারবার এই বিষয়ে স্কুল অথরিটিকে জানিয়েছি। যদিও তারা আমাদের কথায় কোনও কর্ণপাত করেনি। আমরা তাই শো-কজ করেছি। ওই বাসগুলি কেন বাতিল করা হবে না। তা আমরা জানতে চেয়েছি। তবে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
advertisement
দফতর সূত্রে খবর এই তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার আরও একটি নামী স্কুল। যারা ১৬ বছরের পুরনো স্কুল বাস চালাচ্ছে। রাজ্য সরকারের দূষণ তালিকাতেও রয়েছে সেই স্কুল বাস। এছাড়া কলকাতার মধ্যেই সোদপুর, সোনারপুর, ব্যারাকপুর, শ্রীরামপুর ও হাওড়াতেও দিব্যি চলছে এই সব ফিটনেস ফেল হওয়া অসুস্থ বাস।
রাজ্য সরকার ফিটনেস ফেল করার ফলে বকেয়া অর্থের ভার কমাতে বাণিজ্যিক গাড়িগুলিকে ব্যাপক ছাড় দিচ্ছে রাজ্য সরকার। মাত্র ১৫০০ টাকা দিলেই মকুব হচ্ছে বাকি টাকা। তার পরেও একাধিক স্কুলের এমন আচরণ ঘিরে ক্ষোভ রয়েছে পরিবহণ দফতরের অন্দরে। আরও বেশি তাদের আশ্চর্য করেছে অভিভাবকদের উদাসীনতা। নাহলে তিন বছর ধরে ফিটনেস ফেল করা গাড়ি তাদের বাচ্চাদের নিয়ে রাস্তায় চলছে আর জানতে পারছেন না।
এই বিষয়টি অবাক করেছে পরিবহণ মন্ত্রীকেও। শহরে স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে যাতায়াত করে পুলকার এবং স্কুল বাস। বেশ কিছু স্কুলে নিজস্ব বাস চলে। আর বাকিদের নিয়ে যাতায়াত করে স্কুল বাস অ্যান্ড ক্যারেজ অ্যাসোসিয়েশনের বাস। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে হিমাদ্রি গাঙ্গুলি বলেন, “রাজ্য সরকার যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা ঠিক করেছে। আমরা নিয়ম মেনে গাড়ি চালাই তাও আমাদের ওপর অত্যাচার হয়। আর এই সমস্ত স্কুলগুলি নিয়ম না মেনেই বাস চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়না। এবার ব্যবস্থা নিলে আমরা খুশি হব।” ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্কুলগুলিতে এই ব্যপারে নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর।রাজ্যের ব্ক্তব্য, সি এফ ফেল করা গাড়ি চালাতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে বাগবাজারে। সেই কাহিনীর আর পুনরাবৃত্তি চায় না রাজ্য সরকার।