উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে তিনি বলেছেন, "লোকসভা ভোটে গো-হারা হেরেছি। আশা করি বিধানসভা ভোটে আমাকে আপনারা পুষিয়ে দেবেন।" সেই লক্ষ্যেই এবার উত্তরের আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক অটুট রাখতে গত তিনদিন ডুয়ার্সে সফর করেছেন তিনি। গত দু'দিন তার নজরে ছিল কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলা। বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গে চা-বলয়ে ও আদিবাসী ভোটে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব রাজনৈতিক দল। সেই লক্ষ্যেই এবার লড়াই শুরু করলেন খোদ মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাই আজ বিকেলেই উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে তিনি কলকাতায় তৃণমূলের তফশিলি জাতি, উপজাতি সম্মেলনে হাজির থাকছেন তিনি।
advertisement
গত দু'দিন আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ার জেলায় হাজির ছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এমনকি ফালাকাটায় রাজ্য সরকার আয়োজিত গণ বিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। উত্তরে মেরামতি করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেই মেরামতি করতে প্রয়োজন আদিবাসী ও তফশিলি জাতি-উপজাতির ভোট। যে ভোট বিজেপি টানার জন্যে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।
আগামী সপ্তাহে বিজেপি কোচবিহার জেলা থেকে রথযাত্রা'র মাধ্যমে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করতে হাজির থাকছেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডার মতো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তার আগেই পাশে আছি এই বার্তা মমতা বন্দোপাধ্যায় দিতে চলেছেন আজ বিকেলের সম্মেলন থেকে। এর মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস যে প্রকৃতই এনাদের পাশে রয়েছে সেই বার্তা দেওয়া যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ইতিমধ্যেই একাধিক জেলায় গিয়ে তফশিলি জাতি-উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় গেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এনাদের সমস্ত ধরণের সাহায্য করা হচ্ছে প্রশাসনিক ভাবেও। এবার শাসক দলের এই সংগঠনের নেতাদের নিয়ে রাজনৈতিক জমিও ধরে রাখতে চাইছেন তিনি। বিশেষ করে নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে যখন বিজেপি এই রাজ্যে ঝাঁপাতে চাইছে। মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে খোদ অমিত শাহ'কে আসতে হচ্ছে। তখন ভোটের আগে তফশিলি জাতি -উপজাতি ভোট নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে শাসক দল।
