‘এ তো সব মহাপুরুষদের নাম!’ মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ে’র। প্রত্যেকেই যথেষ্ট প্রভাবশালী এবং জন প্রতিনিধি, বিধায়ক, কর্পোরেটর, এমনটাই জানাল সিবিআই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাল্টা মন্তব্য, ”হ্যাঁ প্রত্যেকেই দেখছি প্রভাবশালী এবং সিবিআইকে শক্ত হাতে, কড়া তদন্ত করতে হবে। পাখির পালকের ছোঁয়া দিয়ে তদন্ত চলবে না।”
আরও পড়ুন: বড় খবর! অনুব্রত মণ্ডলের জীবনে আশার আলো? CBI-কে নোটিস ইস্যু করল সুপ্রিম কোর্ট
advertisement
এরপরই সিবিআইয়ের সমালোচনা করে বিচারপতি বলেন, ”লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলে ওই নেতারা গ্রেফতার হবে তাই তো।” সিবিআই-এর জবাব, ”না স্যার।” বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ে’র পাল্টা মন্তব্য, ”আমার অবসর পর্যন্ত অনেকে অপেক্ষা করছে। কিন্তু আমি কখনই অবসরে যাব না। মাঝে মধ্যে মনে হয় একটা পদযাত্রা করি। হাইকোর্টের নিচে সূর্য সেনের মূর্তি থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত। কিছুই বলব না শুধু হাঁটব। কী সব চলছে চারিদিকে। আদালতকে কাঁচকলা দেখিয়েছে সিবিআই। হাইকোর্টের নজরদারির তদন্ত এমন কেন হবে!”
আরও পড়ুন: হঠাৎ দিল্লি গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, CPIM-কে নিয়ে তোলপাড় ফেলা মন্তব্য! ব্যাপার কী?
এরপরই বিচারপতি বলেন, ”এরকম চললে আমাকে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে নির্দেশ দিতে হবে। জোড়াতালি দেওয়া (ভেগ) তদন্ত করছে সিবিআই। মন থেকে বা প্রকৃত (সিনসিয়ারলি) তদন্ত করছে না। মামুলি গোছের তদন্ত হচ্ছে। সিবিআই আধিকারিক আর মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে বোঝাপড়া হয়েছে বলে এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে।”
বিচারপতির সংযোজন, ”সুপ্রিম কোর্ট গিয়ে একটা রক্ষাকবচ নিয়ে আসুক মানিক ভট্টাচার্য, আমরা আর কিছু করব না। হয়তো এমন একটা বোঝাপড়া হয়েছে। এমন সন্দেহই হচ্ছে।” মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় সিবিআই তদন্তের কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি সিবিআই তদন্তের সিডিও তলব করেন বিচারপতি।