বৃহস্পতিবার টানা তল্লাশির চালিয়েছিল সিবিআই। কেন কাউন্সিলরের বাড়িতে অ্যাডমিট, রেকমেন্ডেশন লেটার, এসএসসি ও প্রাইমারি নিয়োগ সংক্রান্ত নথি? উত্তর খুঁজছে সিবিআই। যদিও বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর দাবি, “কিছু ডকুমেন্টস ও নথি, আইটি রিটার্ন নিয়েছে সিবিআই। আমাকে ডাকলে নিশ্চয়ই যাব।” তবে সেই ডকুমেন্টস কীসের, সে ব্যাপারে তিনি মুখ খোলেননি।
আরও পড়ুন: মহুয়া মৈত্রকে কী ঘটল সংসদে! অভিষেকের মন্তব্যে বড় ইঙ্গিত! তোলপাড়
advertisement
অন্যদিকে, কিছু দিন আগে ডোমকলের বিধায়কের জফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে ২৮ লক্ষ নগদ ও ভরি ভরি সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। সিবিআই টানা তল্লাশি শেষে নগদের পাশাপাশি এত বিপুল সোনার গয়নার উৎস কী? কোথা থেকে পেলেন? এসব উত্তর খোঁজার জন্য বিধায়ককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। মিলেছে কিছু ডকুমেন্টস ও নথি।
আরও পড়ুন: হাবড়ার তিনটি মেয়ে গেল কোথায়! চার দিন পার, তাহলে কি..! বাড়ছে আশঙ্কা
সেই নথি, ডকুমেন্টস নিয়োগ সংক্রান্ত কিনা, সে সব খতিয়ে দেখছে সিবিআই।পাশাপাশি কিছু দিন আগে তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে তল্লাশি নিয়োগ সংক্রান্ত নথি ও ট্রান্সফার সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করল সিবিআই। দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে অ্যাডমিট কার্ড এবং সুপারিশ পত্র পেয়েছে সিবিআই। দেবরাজ চক্রবর্তী নিজেই স্বীকার করেন সে কথা।
তবে পাশাপাশি তিনি জানান, তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া অ্যাডমিট কার্ড অথবা সুপারিশ পত্রর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগাযোগ রয়েছে কিনা, সেটা প্রমাণ সাপেক্ষ। তার দাবি, একজন পুর প্রতিনিধির বাড়ি থেকে এডমিট কার্ড পাওয়া বা সুপারিশপত্র পাওয়া প্রমাণ করে না সে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। কোন একজনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটা রেকমেন্ডেশন লেটারও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে সিজ করেছে সিবিআই। কোনও অসুস্থ মানুষের জন্য রিকোয়েস্ট করা যদি তার ভুল হয়, তবে তিনি সেই ভুল বারবার করতে চান। ট্রান্সফার এর নথি কেন ছিল? বেশ কিছু ডকুমেন্টস বাজেয়াপ্ত। নিয়োগ সংক্রান্ত নথি কিনা ? এই বিষয় গুলো খতিয়ে দেখছে সিবিআই। সব মিলে বলা যায়, গত বৃহস্পতিবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা, মুর্শিদাবাদ সহ সাত জায়গায় তল্লাশিতে মিলেছে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি ও ডকুমেন্টস। যা কিনা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আরও বিপাকে ফেলতে পারে বলে ওয়াকিবহল মহলের দাবী।
