অয়ন ইডিকে জানান, এই ৪০ কোটি টাকা তিনি রাখেননি। ৪০ কোটির মধ্যে ২০-২৫% কমিশন পেতেন তিনি। বাকি ৭৫-৮০% চলে যেত নির্দিষ্ট পুরসভার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে। অয়ন ৪০ কোটি টাকা তোলার কথা শিকার করেছে। অয়ণের বয়ান অনুসারে পুরসভার নিয়োগে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরী করা হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে সেই তালিকা ইডি জমা দেবে, ইডি সূত্রে খবর।
advertisement
ইডি সূত্রে খবর, অয়ন শীল পুরসভা দুর্নীতি ও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি দুটো মিলিয়ে প্রায় ৮০ কোটি টাকা তুলেছিলেন বিভিন্ন প্রার্থীদের থেকে। এই টাকা বেশিরভাগই নেওয়া হয়েছে নগদে। এসব ক্ষেত্রে প্রমাণ এড়াতে ব্যাংকে লেনদেনে করতো না অয়ন। অয়নকে জেরা করে ইডির হাতে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই বিপুল কালো টাকা কোথায় কোথায় গিয়েছে খতিয়ে দেখছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, শুধুমাত্র পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিতেই ৪০ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল।
তবে এই অঙ্কর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে দাবি ইডির। অয়ন শীল পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিতে বিভিন্ন জনের থেকে প্রায় ৪০ কোটি টাকা তুলেছিলেন। অয়ন বিভিন্ন পুরোসভা নিয়োগে ক্ষেত্রে ক্যান্ডিডেট প্রতি লক্ষ লক্ষ টাকা কমিশন নিতেন।অয়নের বাড়ি থেকে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল একাধিক নথি, হার্ড ডিস্ক সহ বিভিন্ন ডকুমেন্টস। সেখানে মিলেছে ১২ কোটি টাকা পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তুলেছিল অয়ন শীল। পুরসভা নিয়োগের জন্য প্রায় ষাটটির বেশি পুরসভা থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল অয়ন। এক একটি পোস্ট অনুসারে নেওয়া হত কমিশন। নেওয়া হত টাকা। যার যেমন পোস্ট সেই অনুসারে নির্ধারণ করা হত টাকার অঙ্ক।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বৈঠকে তৃণমূল, পরিচালনা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
কম্পিউটার হার্ড ডিস্ক ও অয়নকে জেরা করে মিলেছে চল্লিশ কোটি টাকার কথা জানতে পেরেছে ইডি। অয়ন শীল জেরায় জানিয়েছে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকা তুলেছেন। সব মিলে ইডির দাবি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ও পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি দুই দুর্নীতি মিলে প্রায় আশি কোটি টাকা তুলেছিল অয়ন শীল। তবে ৪০ কোটি টাকা অয়ন শীল তুলেছিল পুরসভা দুর্নীতি মামলাতেই। সেই টাকা কোথায় কোথায় কার কাছে গিয়েছে ? খতিয়ে দেখছে ইডি।