তল্লাশিতে যে সমস্ত তথ্য সামনে এসেছে, তাতে যা বোঝা যাচ্ছে, এই অয়নের সল্টলেকের অফিসই ছিল নিয়োগ দুর্নীতির অন্য়তম আখড়া। আর পার্থ-অর্পিতা, গোপাল-হৈমন্তীর মতো এখানেও চর্চায় উঠে এসেছে আরও এক নারী চরিত্র। নাম শ্বেতা চক্রবর্তী। যিনি পেশায় মডেল হলেও কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার। এই শ্বেতার নামেও মিলেছে বিপুল সম্পত্তি। এছাড়াও, ইডির নজরে রয়েছে অয়ন শীলের বাবা ও ছেলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও।
advertisement
আরও পড়ুন: শুধু স্ত্রী নন, পরিবারের ১৩ জনের সরকারি চাকরি, সুজনকে নিয়ে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ
অয়নের বাড়িতে ইডির অভিযান হয়েছে। সূত্রের খবর, তার আগেই নাকি কোনও এক রহস্যময়ী অয়নকে চ্যাটে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, তাঁর বাড়িতে ইডি রেড করতে পারে। অয়নের চ্যাট হিস্ট্রি ঘেঁটে দেখা গিয়েছিল, 'Ed রেড করতে পারে। জিনিসপত্র সরিয়ে নাও। এখান থেকে চলে যাও।' এই চ্যাট দেখে রীতিমতো তাজ্জব গোয়ন্দারা। কী করে তল্লাশির একদিন আগে এরকম সন্দেহপ্রকাশ করলেন ওই মহিলা? কে ছিলেন ওই মহিলা? তিনি কি অয়নের বান্ধবী শ্বেতা, নাকি অন্য কেউ, তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি ইডি-র তরফে।
আরও পড়ুন: সবজি আসছে কলকাতায়, ট্রেনেই মেশানো হচ্ছে 'স্লো-পয়জন'! ঘটনা জানলে খাবার ইচ্ছে চলে যাবে
ইডি সূত্রের খবর, অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর নামে বিপুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। একজন উঠতি মডেলের এত সম্পত্তি কীভাবে থাকতে পারে, তা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। জানা গিয়েছে, মহেন্দ্র প্রাসাদ ও রাজেন্দ্র প্রসাদের থেকে সম্পত্তি কিনেছিলেন শ্বেতা চক্রবর্তী। কীভাবে কোথা থেকে এসেছিল সেই টাকা? তাহলে কী অয়নের টাকাতেই সম্পত্তির কেনাবেচা? এ সমস্ত কিছুই জানতে চায় ইডি। এবার সেই সূত্রেই উঠে এল অয়নের ১০০ কোটি সম্পত্তির হদিশ।