শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সেই তদন্তে উঠে আসে আর্থিক লেনদেনের বিষয়। স্বভাবতই সমান্তরালভাবে তদন্ত শুরু করে ইডিও। তারপর বিভিন্ন সূত্র ধরে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার দুটি ফ্ল্যাট মিলিয়ে উদ্ধার হয় ৫০ কোটি টাকার বেশি। কোথা থেকে এল এত টাকা, তার কোনও সদুত্তর দিতে না পারায় গ্রেফতার করে ইডি। যদিও অর্পিতার দাবি ছিল, এই টাকা তাঁর নয়। তারপর থেকে জেলেই ছিলেন তিনি। কিন্তু অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে যে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল, সে টাকা কার তার উত্তর আজও জানা যায়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্য জুড়ে একের পর এক মৃত্যু, বিরাট ঘটনা ঘটে গেল বর্ধমানে! অভিযানে পুলিশ
এর আগে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেও এদিন কোনও উত্তর দেননি তিনি। এর আগে তিনি বলেছিলেন, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা তাঁর নয়। তাঁকে ‘ফাঁসানো’ হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, বলেছিলেন, ”একজন মহিলাকে আটকে রেখে তাঁর মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে? আমি অত্যন্ত উচ্চ বংশের মেয়ে। আমার মা অসুস্থ। তাঁর পাশে থাকতে হবে।” তবে সোমবার তিনি কোনও উত্তর দেননি।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগে লাখ-লাখ টাকা নিয়েছেন, তৃণমূল নেতার জমি কেড়ে নিল চাকরিপ্রার্থীরা! তারপর…
মাঝে দীর্ঘদিন জামিনের আবেদন না করলেও এতদিন পর প্রথমবার জামিনের আবেদন করলেন অর্পিতা। সোমবার এই জামিনের আবেদন মামলার শুনানি রয়েছে।