পার্থ ক্ষেত্রে দল কেন এতটা বিরূপ হল, তার ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূলের প্রবীন সাংসদ সৌগত রায়৷ দমদমের সাংসদ রাখঢাক না রেখেই স্বীকার করলেন, অর্পিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ এবং কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের জন্যই পার্থর ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে দলকে৷
আরও পড়ুন: রাজ্য জুড়ে স্কুলে স্কুলে এবার 'শিশু সংসদ'! আট দফা গাইডলাইন জারি স্কুল শিক্ষা দফতরের...
advertisement
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ পার্থ, অনুব্রত, মানিক ভট্টাচার্যের মতো দলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়করা দুর্নীতির দায়ে জেলে যাওয়ার ঘটনাকে স্বাভাবিক ভাবেই অস্ত্র করবে বিরোধীরা৷
শুধু তাই নয়, অনুব্রত এবং মানিকের বিরুদ্ধেও গরু পাচার এবং নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার মতো গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁদের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতৃত্ব কড়া পদক্ষেপ করল না, সেই প্রশ্ন তুলেও শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলতে চেষ্টা করবে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস৷
আরও পড়ুন: ৫নভেম্বর রাজ্যে নবান্নে মুখোমুখি শাহ-মমতা, থাকতে পারেন আরও চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
দমদমের সাংসদকে এ দিন তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সৌগত রায়ের জবাব, 'পার্থর ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ অনেক খোলাখুলি সামনে এসেছে৷৷ স্তূপিকৃত টাকা পাওয়া গিয়েছে৷ তাঁর সহযোগীর কাছ থেকে টাকা মিলেছে, সবাই দেখেছে৷৷ এর পরে তো দল চুপ করে বসে থাকতে পারে না৷'
পার্থর মতো মানিক ভট্টাচার্যও তৃণমূল সাংসদের আরও দাবি, 'মানিকের বিরুদ্ধে অনেক তদন্ত করেও স্তূপিকৃত টাকা পায়নি৷ এখন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা আছে বলছে৷ অনুব্রতর ক্ষেত্রেও তাই৷ প্রকাশ্যে টাকা মেলেনি৷ নথি টথি পাওয়া গিয়েছে বলছে৷ কাগজপত্র কী পেয়েছে সেটা অন্য কথা৷ এ সবই প্রমাণ সাপেক্ষ৷' সৌগত রায় বোঝাতে চেয়েছেন, মানিক এবং অনুব্রতর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত দল কোনও ব্যবস্থা নেবে না৷
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর প্রকাশ্যেই বীরভূমের নেতার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অনুব্রতকে বীরের সংবর্ধনা দেওয়ার জন্যও দলের নেতা, কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি৷ মানিক ভট্টাচার্যও তৃণমূলের বিধায়ক৷ অনুব্রতর মতো মানিকের পাশে খোলাখুলি তৃণমূলের কোনও নেতা না দাঁড়ালেও তাঁর বিরুদ্ধেও কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি দলের নেতাদের৷ মানিকের বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি দল৷