পুরো তদন্তেই মোবাইল গুরুত্বপূর্ণ৷ সিআইডি মনে করছে কল লিস্ট দেখলে বোঝা যাবে ঘটনার আগে ও পরে কার কার সঙ্গে কথা হয়েছিল। এর পাশাপাশি খুনের মোটিভ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় গোয়েন্দারা। সিআইডি সূত্রে খবর, কখনও সত্যেন্দ্র বলছে, অতনু বিভিন্ন কারণে গালিগালাজ করতো তাই রাগ ও প্রতিহিংসা থেকে খুন। আবার কখনও তার দাবি ৫০ হাজার টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিচ্ছিল অতনু, আর তার জন্য খুন। গোয়েন্দারা মনে করছে এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও বড় রহস্য যা গোপন করছে সতেন্দ্র।
advertisement
আরও পড়ুন: 'বিজেপির নবান্ন অভিযানে বামেদের ডাক শুভেন্দুর! কী বললেন বাম নেতা? রাজনীতি সরগরম!
জেরায় সতেন্দ্র সিআইডিকে জানায়, সতেন্দ্র-সহ মোট তিন জন অতনু ও অভিষেককে প্রথম গাড়ি করে নিয়ে আসে। এর পর কিছু দূর গিয়ে দ্বিতীয় গাড়িতে ভাড়াটে দুজন অপরাধী ছিল। ওই গাড়িতে চালক ছিল। কিছু দূর যাওয়ার পর থেকে দুজন অভিযুক্তর চলে আসে সতেন্দ্র অতনুদের গাড়িতে।এরপর দ্বিতীয় গাড়ির চালক সহ গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় গাড়ি ও গাড়ি চালকের খোঁজ চালানো হচ্ছে। সিআইডি সূত্রে খবর, দ্বিতীয় গাড়ি চালকের মোবাইলের নম্বর মিলেছে। তার মোবাইল ট্র্যাক করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কোথায় তাকে ছেড়েছিল? কোথায় গাড়ি বদল হয়? গাড়ির মধ্যে কী কথোপকথন হয়েছিল? যেখানে চালক কি কিছু শুনেছিল?
আরও পড়ুন: 'বিজেপির নবান্ন অভিযানে বামেদের ডাক শুভেন্দুর! কী বললেন বাম নেতা? রাজনীতি সরগরম!
দীর্ঘ টানাপড়েন, বিক্ষোভের পর বিধাননগর পুলিশের হাতে গ্রেফতার বাগুইআটি খুনের মূল অভিযুক্ত৷ শুক্রবার সকালে হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেফতার সত্যেন্দ্র চৌধুরী৷ ফোনের টাওয়ার লোকেটেড করেই তার সন্ধান পায় পুলিশ৷ বারবার লোকেশন বদবাচ্ছিল সে, ট্রেন ধরে পালানোর পরিকল্পনা ছিল সত্যেন্দ্রর৷ কিন্তু সেই ইচ্ছা আর সফল হল না৷ মৃত ছাত্র অতনু দে-র পরিবারের তরফে অভিযোগ, পুরো ষড়যন্ত্রের মূল পান্ডা সত্যেন্দ্র। অভিযোগ, এই সত্যেন্দ্রই ২২ অগাস্ট দুই পড়ুয়াকে মোটর বাইক কেনানোর নাম করে নিয়ে যায় এবং অতনু দে এবং অভিষেক নস্করকে শ্বাসরোধ করে খুন করে।