পাশাপাশি সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এদিনের রাজভবনের অনুষ্ঠানে। প্রজাতন্ত্র দিবস এবং হাতে খড়ি দুই উৎসবেরই একইসঙ্গে প্রস্তুতি চলছে রাজভবনে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজভবনে বসছে কার্যত চাঁদের হাট। প্রতিবারই প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন রাজভবনকে বিশেষভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। কিন্তু এবারের রাজভবনের এই সাজিয়ে তোলার এক অন্যতম তাৎপর্য রয়েছে। রাজভবনের প্রত্যেক দরজার সামনে দেওয়া হয়েছে আলপনা। রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই সিভি আনন্দ বোস বাংলা ভাষা শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। বড়দিনে বাংলা বই লেখার ইচ্ছা প্রকাশও করেছিলেন রাজ্যপাল।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রচারের আলো থেকে আলোকবর্ষ দূরে থেকেই জীবন কেটেছে ওআরএস পথপ্রদর্শকের
শুধু তাই নয় সম্প্রতি একটি সংগঠনের অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যপাল মন্তব্য করেছিলেন "এই বাংলা হল সোনার বাংলা। এখানে শিল্প,সাহিত্য, সংস্কৃতির অনেক চর্চা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাবুলিওয়ালা গল্প আমি পড়েছি। ছোট্ট মেয়ে মিনির চরিত্রটা আমার মনে দাগ কেটে যায়।"রাজ্যপাল পদের দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন তিনি বাংলা শিখছেন। অতীতেও রাজ্যে এসে একাধিক রাজ্যপাল বাংলায় কখনো কথা বলেছেন আবার কখনও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে ভাষণের সূচনা পর্বে বাংলাতে বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু এইভাবে রাজভবনে "হাতেখড়ি" অনুষ্ঠানের নজির কার্যত নেই।
আরও পড়ুন: ‘মা দুর্গা ও নারী শক্তির ক্ষমতায়ন...’ দিল্লির কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলার ট্যাবলো
রাজভবন সূত্রে খবর প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এদিন প্রথমে চা চক্র আয়োজিত হবে। তারপর এই হাতে খড়ি অনুষ্ঠান হবে। ইস্ট লনে এই হাতে খড়ির অনুষ্ঠান হবে বলেই রাজভবন সূত্রে খবর। সবমিলিয়ে শ্রী পঞ্চমীর দিনে রাজভবন দেখল এক নয়া সাজ।