অতীতে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করা শান্তনুর বাড়ি তালতলার হাঁড়িপাড়াতে। এক সময় রোজগারের জন্য চেন্নাইয়ে থাকত এই যুবক। সেখানে একটি হোটেলে রান্নার কাজ করত । মাসে খাওয়া-থাকা-সহ মোট ১০ হাজার টাকা পেত। দেড় বছর আগে শান্তনুর দাদা গৌতম মান্না তিনদিনের জ্বরে হঠাৎ মারা যান । অসুস্থ ও বৃদ্ধা মাকে একা রাখবেন না বলে গত বছর লকডাউনে শান্তনু কলকাতায় ফিরে আসে ৷
advertisement
এর পর কিছু দিন দিন কাটে রোজগারহীন অবস্থাতেই ৷ লকডাউনে যোগাযোগ হয় দেবাঞ্জনের সঙ্গে। প্রথমে শান্তনু দেবাঞ্জনের কাছে প্রতিদিন পাঁচশ টাকা উপার্জনে কাজ করতেন। সে সময় তালতলাতেই দেবাঞ্জনের মাস্ক,স্যানিটাইজার, পিপিই কিটের অফিস ছিল।
ভুয়ো টিকাকাণ্ডে শান্তনু গ্রেফতার হওয়ার পর ওর মা ঘন ঘন অজ্ঞান হয়ে পড়ছিলেন । উচ্চরক্তচাপ, ব্লাডশুগার, থাইরয়েড, হৃদরোগ-সহ একাধিক শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত তিনি। ছেলের জন্য কেঁদে চলেছেন বিদ্যা । চোখেমুখে রীতিমতো অসুস্থতার ছাপ ৷
ছেলে যদি জেল থেকে তাড়াতাড়ি ফেরত না আসে? তাহলে ওষুধ কিনে দেবে কে? প্রশ্ন বিদ্যার পরিজনদের। বৃদ্ধা বিদ্যা বার বার বলছেন, ‘‘ এত নেতা মন্ত্রী ,পুলিশ, আমলা যে প্রতারককে চিনতে পারলেন না ! আমার ছেলে চিনবে কী করে?’’ একজন প্রতারকের জন্য সধারণদের ধরে জেলে ঢোকাচ্ছে পুলিশ। বিদ্যার মতো এই একই অভিযোগ শান্তনুর বন্ধু সুরেশ রায়, সুকুমার ঘোষেরও ৷
