শুধু সন্দেশখালি নয়, হিঙ্গলগঞ্জ, গোসাবা, বাসন্তী সহ বিস্তীর্ণ সুন্দরবন এলাকায় বিশেষ করে হিন্দু ভোটারদের গা-জোয়ারি করে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলেও এদিন দাবি করে শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘ভোটের দিন শুধুমাত্র আঙুলে কালি লাগিয়ে দেওয়া হত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন করতে দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র জমি লুট বা ভোট লুট করাই নয়, গণতন্ত্র লুট করাই শুধু নয়। প্রধানমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় সরকার যে সমস্ত প্রকল্প গরিব মানুষদের জন্য রাজ্যে পাঠিয়েছেন সব লুট করেছে শাহজাহানেরা।’’
advertisement
তাই এখন পুলিশ কিংবা তৃণমূলীরা গ্রামে গিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হবে না বলে জানিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান রাজ্য সভাপতি বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও শাহাজাহানকে গ্রেফতার করবেন না।’’ কারণ, শাহজাহানেরা সবকিছু লুট করে আর সেই লুটের ভাগ কালীঘাটে পৌঁছয় বলেও রবিবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বলাবাহুল্য, সন্দেশখালির বাসিন্দাদের অভিযোগের পাহাড় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র খুলে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে পাশাপাশি সুজিত বোস, পার্থ ভৌমিক সহ অন্যান্য নেতা মন্ত্রীরা ঘনঘন সন্দেশখালি গিয়ে গ্রামবাসীদের বিভিন্ন অভাব অভিযোগ শুনে চটজলদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিচ্ছেন। আর একেই কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘এসবই ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা। কোনও লাভ হবে না।’’
