এলাকায় কেন্দ্রীয় সংস্থার অধিকারিকরা যাতে সুরক্ষিত থাকেন এবং তাঁরা যাতে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন সেই কারণেই এলাকায় অবিলম্বে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা প্রয়োজন বলেও অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে আবেদন করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
advertisement
অন্যদিকে সন্দেশখালি নিয়ে কড়া বিবৃতি দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর কথা। “সন্দেশখালির ঘটনা খুব অ্যালার্মিং। সরকারের কর্তব্য গণতন্ত্রে ভাঙচুর ও হিংসা আটকানো। সরকার যদি তার কর্তব্য করতে ভুলে যায় তাহলে ভারতীয় সংবিধান তার মতো পদক্ষেপ করবে। সংবিধান রাজ্যপালকে ক্ষমতা দিয়েছে। জঙ্গলরাজ গুন্ডারাজ এখানে কায়েম করতে দেব না।”
রাজ্যপাল তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেন, “সরকারকে তার কর্তব্য করতে হবে। যারা নিজেদের ডন মনে করছেন তারা কিছুদিন বাদেই দেখতে পাবেন কী হয়। নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে এই হিংসা শেষ করতে হবে। সরকারকে তার চোখ খুলতে হবে। এর ফলাফলের দায়িত্ব রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে। সব সময় সবাইকে বোকা বানানো যায় না। হিংসা ও সংঘর্ষ বাংলায় বন্ধ করবই।” গোটা ঘটনা সম্পর্কে জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেকে চিঠি দিচ্ছেন রাজ্যপাল, এমনটাই রাজভবন সূত্রে খবর।
সন্দেশখালীর ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক। এক বিবৃতিতে নিশীথ প্রামানিক বলেন, “কোনও রাজ্যে যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখন কোনও তদন্তে যায় তখন তদন্তকারী দলের সুরক্ষা প্রদান করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের।”
নিশীথ প্রামানিক তাঁর বিবৃতিতে বলেন “পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে আমরা বারবারই যেটা লক্ষ্য করছি তা হল, মাঝেমধ্যেই তদন্তকারী সংস্থার কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের। আমরা মনে করি সন্দেশখালির ঘটনা এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে। এবং আগামী দিনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’