রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জীবনে জ্যোতিষদের প্রভাব প্রতিপত্তির নিদর্শন কম নয়! ব্যতিক্রম নয় এই বঙ্গও। ভুরি ভুরি উদাহরণ! হালফিলে শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য বিজেপির সভাপতি হয়ে আসার পর বিজেপির রাজ্য দফতরে দেখা মিলছে কলকাতার এক প্রথিতযশা জ্যোতিষীর। লেকটাউনের বাসিন্দা মিহির গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের পারিবারিক বন্ধু। গ্রহ রাশি বিচারে শমীকবাবুকে মাঝেমধ্যে পরামর্শও দেন। নতুন সভাপতির মুক্তো, পান্না বা গোমেদ ধারনেও মিহিরবাবুর জ্যোতিষ জ্ঞান।
advertisement
শমীক ভট্টাচার্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি হয়ে আসার পর প্রদেশ দফতরে ঢু মারতে দেখা গিয়েছে মিহির গঙ্গোপাধ্যায়কে। শমীক ঘনিষ্ঠরা বলছেন, রাজ্য দফতরে সভাপতির ঘরের বাস্তু পরীক্ষা করতেই মিহির বাবুর বিজেপি রাজ্য দপ্তরে আগমন। রাজ্য দফতরে সভাপতির চেয়ারের দিক পরিবর্তনও না কি ঘটেছে মিহিরবাবুর পরামর্শেই! শমীক ভট্টাচার্যের চার দশকের ছায়া সঙ্গী মানিকতলার উত্তম দাস বলছিলেন, ‘‘মিহির গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বহু বছরের যোগাযোগ। শমীক ভট্টাচার্য যে রাজ্য বিজেপির হটসিটে বসবেন সেটাও না কি বছর খানেক আগেই বলে দিয়েছিলেন মিহির বাবু! আগামীর পূর্বাভাস না কী আরও ঝকঝকে!’’
আরও পড়ুন- রাত ১২টায় দুবাইয়ে জন্মদিন সেলিব্রেশন সৌরভের, কেক কেটে খাইয়ে দিলেন স্ত্রী ডোনাকে
সাধারণ ভাবে মাছে-ভাতে বাঙালি শমীক বাবুর ঈশ্বরে বিশ্বাস বরাবরের! সায়েন্স সিটিতে বিজেপির সভাপতি বরনের মঞ্চে মা কালীর উপস্থিতি সেটাই জানান দেয়! শনি, মঙ্গলবার নিয়ম করে দক্ষিণের লেক কালীবাড়িতে যাতায়াত রয়েছে! রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরেও মাথা ঠেকাতে গিয়েছিলেন দক্ষিণের কালী মন্দিরে। আবার মিহিরবাবুর কর্মস্থলও দক্ষিণের ওই কালী মন্দির। বিজেপির রাজ্য দফতরে জ্যোতিষীর উপস্থিতিতে বাস্তু নিয়ন্ত্রণে ২৬-এর ভোটে পদ্মে জোয়ার এলেই এখন ষোলো কলা পূর্ণ।