কলকাতা: শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ১২৫ তম জন্মদিবসে মুরলিধর সেন লেনের বিজেপি দফতরে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
সেখানেই শমীক ভট্টাচার্য মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জ্যোতি বসুর প্রসঙ্গ তুলে আনেন। তিনি বলেন, ”এখন দলীয় পতাকা ভুলে এক থাকার লড়াই। যারা জ্যোতি বসুকে শ্রদ্ধা করেন, তাদের সকলের এক সঙ্গে থেকে লড়াই করার সময় এটা। একমাত্র লক্ষ্য যত মত তত পথ। হিন্দুত্ববাদ বা উগ্র হিন্দুত্ববাদ বলে কোনও শব্দ নেই। তৃণমূলের অপশাসন মুক্ত করাই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনের একমাত্র লক্ষ্য।”
advertisement
আরও পড়ুন: ইজরায়েলের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে খামেইনির? সমস্ত জল্পনা শেষ, শনিবার এমন কাণ্ড ইরানে, দেখে থ আমেরিকাও!
এখানেই শেষ নয়, শমীক আরও বলেন, ”একদিকে বন্দেমাতরম অন্যদিকে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত রচনাকাল ও পরবর্তী পরিস্থিতি আমাদের বাংলাকে খন্ডিত করেছে। গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং–এর নেতা সুরাবর্দি যে ভাষায় বক্তব্য রাখত, আজ বাংলার মাটিতে কিছু রাজনৈতিক নেতা সেই ভাষায় বক্তব্য রাখে। ২০ জুনের কথা স্মরণ করে জ্যোতি বসুকে শ্রদ্ধা জানান। বাংলার স্বার্থে পুনর্বিভাজন হবে না।”
বিজেপির নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতির কথায়, ”অনুপ্রবেশের মাধ্যমে যারা রাজ্যের ভৌগোলিক অবস্থানের পরিবর্তন করতে চাইছেন তারা পারবে না। ধর্ম যদি রাষ্ট্র তৈরি করতে পারত, তাহলে এত গুলো রাষ্ট্র তৈরি হতে পারত না। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জন সংঘ তৈরি করেন। তার সম্পাদক ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম প্রফেসর। তাকে রাজনীতি করতে মাথায় তিলক পরে হাতে ত্রিশূল নিতে হয়নি। সকল সংখ্যালঘুদের মনে রাখতে হবে মূল স্রোতে ফিরতে হবে। বাংলাকে ভাগ করতে কেউ পারবে না। আমাদের বাংলাকে এক রাখতে হবে রাষ্টবাদী মুসলমানদেরও দরকার। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে গেরুয়া বসন পরতে হয়নি মাথায় তিলক করতে হয়নি। কিন্তু ভারত সেবাশ্রমের মহারাজ শ্যামাপ্রসাদের হাতে ত্রিশুল তুলে দিয়েছিলেন।”
শমীকের আবেদন, ”এই নির্বাচন মুক্তমনা প্রগতিশীল বাঙালি মুসলমানদের জন্য শেষ নির্বাচন। এই নির্বাচন বাংলার হিন্দু বাঙালির অস্মিতা রক্ষার শেষ নির্বাচন। তৃণমূল আবার ক্ষমতায় ফিরলে জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভার মতো হয়ে যাবে বাংলার বিধানসভা।”