ইতিমধ্যেই সাকেতের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে ‘আপত্তিকর’ ট্যুইট করার অভিযোগেই গুজরাত পুলিশ গ্রেফতার করেছে সাকেতকে। যে ট্যুইটের জন্য সাকেতকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব, সেটি গত ১ ডিসেম্বর নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করেছিলেন সাকেত। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘গুজরাতে মোরবি সেতু ভাঙার পর সেখানে মোদির পরিদর্শনের জন্য ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ৫ কোটি খরচ হয়েছে শুধুমাত্র মোদিকে অভ্যর্থনা জানানোর অনুষ্ঠান এবং ছবি তোলার জন্য। যেখানে মোরবি সেতু ভেঙে মৃত ১৩৫ জনকে মোট ৫ কোটি টাকার এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।’’
advertisement
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পূরণ করতেই মোদি-রাজ্যের পুলিশ গ্রেফতার করেছে সাকেতকে। গুজরাত পুলিশের আইনজীবী আদালতে উল্লেখ করেছেন, ধৃত তৃণমূল মুখপাত্র ভুয়ো ট্যুইট করেছেন। তাই তাঁকে জেরার জন্য হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, সাকেত তাঁর ট্যুইটের সঙ্গে তথ্যের অধিকার আইনে করা একটি প্রশ্ন এবং তার উত্তরের ক্লিপিংস দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ১ ডিসেম্বর প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো তার সত্যতা যাচাই করে জানিয়েছিল, ওই ক্লিপিংস সত্য নয়। সাকেতের গ্রেফতার একটি বাজে ও দুঃখজনক ঘটনা বলে গতকালই জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা বিষয়টি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেও অভিযোগ ছিল তাঁর। কুকীর্তি ফাঁস হওয়ার ভয়েই তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করেছে গুজরাতের পুলিশ, এমনটাই মনে করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল মুখপাত্রের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘মানুষের জীবনের বিনিময়ে নিজের আখের গোছানো শাসকের বিরুদ্ধে নির্ভীক ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন সাকেত। ভয় পেয়ে বিজেপি গুজরাত পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে আমাদের জাতীয় মুখপাত্রকে।’’ যদিও তৃণমূল তাঁর সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগের চেষ্টা করে চলেছে। সাকেতকে কোথায় রাখা হয়েছে, তার খোঁজ পেতে গুজরাতে গিয়েছেন সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। দলের তরফেও জানানো হয়েছে, তৃণমূল সবরকম ভাবে সাকেতের পাশে থাকবে। সাকেতের সমর্থনে ইতিমধ্যেই ট্যুইট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারেরা।