প্রসঙ্গত, সপ্তাহ খানেক আগে মনোনয়ন দাখিল করা নিয়ে তোলপাড় হয়ে ওঠে ভাঙড়। দুই রাজনৈতিক দলের সংঘাতে উত্তপ্ত ভাঙড়ে বোমা-গুলি-রক্তারক্তি কাণ্ড চলে নাগাড়ে। সংঘর্ষের জেরে ভাঙড়ে ৩ জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: অনুব্রত গড়ে কেষ্ট ‘ক্যারিশমা’! হাজারেরও বেশি আসনে জয়! তোলপাড় ফেলে দিল বীরভূম তৃণমূল
এরপরে আজ ভাঙড়ে প্রথম নির্বাচনী সভা ছিল তৃণমূলের। সেই=খানেই সব্যসাচীর মন্তব্য ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন ওঠে রাজনৈতিক মহলে। বস্তুত, মনোনয়ন পর্বে অশান্তির জন্য পুলিশকেই দায়ী করেছেন সদ্য ভাঙড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সব্যসাচী দত্ত। একদিকে যখন ভোটে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবারই পুলিশকে দরাজ সার্টিফিকেট দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনকি স্কটল্যান্ড ইয়াডের পুলিশের সঙ্গে তুলনা টানেন। ওদিকে আজই ভাঙড়ে অন্য সুর সব্যসাচীর গলায়।
advertisement
ভাঙড়ে প্রাক নির্বাচনী অশান্তির জন্য পুলিশকেই কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছেন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। প্রথম নির্বাচনী সভায় যোগ দিয়ে সব্যসাচী বলেন, “মনোনয়ন পর্বে ভাঙড়ের অশান্তির সময় কী করছিল পুলিশ। বহিরাগতদের খবর কেন ছিল না তাদের কাছে।”
উল্লেখ্য, ভাঙড় ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই সভায় এদিন উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা, ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম প্রমুখ। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল আইএসএফ সংঘর্ষে দফায় দফায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ভাঙড়। মৃতু্য হয়েছিল ৩ জনের। ঘটনার পর ভাঙড় পরিদর্শনে ছুটে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।