১. হোটের দরজা ঠেলে সোজা টেবিলে আসার আগে দিতে হবে পরীক্ষা। প্রথমে হোটেলের একজন কর্মী থার্মাল স্ক্যানের মাধ্যমে মেপে নেবে আপনার দেহের তাপমাত্রা। যদি পাস করেন তাহলেই হাতে পাবেন স্যানিটাইজার ও হোটেলে প্রবেশের অনুমতি। তার আগে দেখা হবে মুখের মাস্ক আছে কিনা।
২. সবাই মিলে হোটেলে এলেও করা যাবে না হৈ-হুল্লোড়। সামাজিক দুরত্ব মেনে বসতে হবে সবাইকে। খাবার অর্ডারের জন্য মিলবে না কোন কর্মীকে। আপনার মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চলে আসবে খাবারের মেনু। আপনি মেনু পছন্দ করার পরে সেখানেই উত্তর দিলেই খাবার নিয়ে আসবেন এক কর্মী। আগের মত টেবিলে খাবার আর নয়, দূরে দেওয়া হবে খাবার।
advertisement
৩. পেমেন্ট করতে গেলেও মানতে হবে নতুন নিয়ম। ক্যাসলেস পেমেন্ট না করলেও কার্ড গ্রহণ করা হবে। সেই কার্ডে স্যানিটাইজার ব্যবহার করে জীবানু মুক্ত করা হবে কার্ড।
৪. হোটেল বা রেস্টুরেন্টে খুলে গেলেও চিন্তার বিষয় হচ্ছে কমেছে আসন সংখ্যা। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু রেস্তোরাঁয় যেখানে আগে আসন সংখ্যা ছিল ৯০, করোনার জেরে হয়েছে ৪০। তাই পছন্দের রেস্তোরাঁয় গিয়ে অপেক্ষা করতে হতে পারে অনেকটাই সময়। একটি নামী রেস্টুরেন্টের মালিক সুদেশ পোদ্দার জানান, এইভাবেই নতুন নিয়মে চলুক, হোটেল ব্যাবসাটায় একটু গতি আসুক। হোটেল বন্ধ হতেই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল মালিকদের। বিপুল অঙ্কের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সবাই।
দীর্ঘদিনের লকডাউন কাটিয়ে আনলক ১এ সোমবার অর্থাৎ ৮ই জুন থেকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অর্ধেক ক্রেতার জমায়েত করে রেস্টুরেন্ট খোলার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নির্দেশের পরে হোটেল মালিকরা একটু অক্সিজেন পেলেও নতুন করে তৈরি করতে হচ্ছে রেস্টুরেন্ট।
